রঞ্জি ট্রফিতে ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন পৃথ্বী শ। অসমের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৮৩ বলে ৩৭৯ রান করেন মুম্বইয়ের তারকা ব্যাটার। সেই ইনিংসের সুবাদে প্রথম ভারতীয় হিসেবে অবিশ্বাস্য নজির গড়েছেন। আবার দ্রুত রান করার নিরিখেও পৃথ্বী বিশ্বে অভাবনীয় নজির তৈরি করেছেন। মঙ্গলবার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে দ্বিশতরান করে অপরাজিত ছিলেন ২৩ বছরের পৃথ্বী। আজ বুধবার ৩০০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন পৃথ্বী। লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। মুম্বইয়ের জার্সিতে ৩৭৯ রান করে মাঠ ছাড়লেন পৃথ্বী। সেই সঙ্গে একাধিক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন মুম্বইয়ের পৃথ্বী। রঞ্জিতে ইতিহাস না হলেও মুম্বইয়ের হয়ে নজির গড়েছেন পৃথ্বী। রঞ্জিতে এর আগে মুম্বইয়ের কোনও ব্যাটার এত রান করেননি। এখানেও মঞ্জরেকরের নজির ভেঙেছেন পৃথ্বী। মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে। ৩৩ রানে ৩টি উইকেট নেন শামস মুলানি। ৩৪ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন মোহিত আবস্তি। প্রথম ভারতীয় হিসাবে রঞ্জি ট্রফিতে ত্রিশতরান, বিজয় হজারে ট্রফিতে দ্বিশতরান এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে শতরান রয়েছে পৃথ্বী শ এর। বুধবার মধ্যাহ্নভোজের পরেই রিয়ান পরাগের বলে ফিরে যান পৃথ্বী। জুলাই ২০২১-এর পর থেকে ভারতের জার্সিতে আর খেলার সুযোগ পাননি পৃথ্বী শ। যার ফলে এই মরসুম একাধিক বড় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ছিল শ-এর। মঙ্গলবারই এই গুয়াহাটিতে দ্বি-শতরান পূর্ণ করেন পৃথ্বী শ। ঠিক সেই সময়ে গুয়াহাটিতে ছিল ভারতীয় দলও। ভারতের জয়ের দিন কিছু দূরে অপর স্টেডিয়ামে নির্বাচকদের দলে ফেরানোর জন্য ব্যাটের ঝড়ে ভাল মতো হুঁশিয়ারি গেলেন পৃথ্বী। পৃথ্বী শ-এর ট্রিপল সেঞ্চুরি নতুন করে তাঁকে নিয়ে ভাবতে বাধ্যবে করবে নির্বাচকদের এটা প্রত্যাশিত। শুধু একা পৃথ্বী-ই নন, জাতীয় দলে ফেরার জন্য দাবি জানিয়ে রাখলেন প্রাক্তন সহ অধিনায়ক এবং টেস্ট জয়ের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। প্রথম দিনের খেলার শেষে ২৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন পৃথ্বী। নিজের সেই ইনিংস সম্পর্কে পৃথ্বী বলেছেন, “অনেক দিন পর ভাল লেগেছে। গত কয়েকটা ইনিংসে ভাল খেলতে পারিনি। তাই ক্রিজ কামড়ে পড়ে থেকে যত বেশি সম্ভব রান করতে চেয়েছিলাম। আগে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সাফল্য পেয়েছি, এখানেও সেটাই করেছি। রান না পেলে মাথা ঠান্ডা রাখি। ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রমের জেরেই সাফল্য পেয়েছি। এটা বুঝতে শিখেছি যে ছন্দ খারাপ থাকলে শান্ত হয়ে পুরনো দিনের ভাল সময়ের কথা ভাবলে অনেক ভাল হয়। জিমে সময় কাটানো, নিয়মিত দৌড়নো আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।”