স্কুল নিযোগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক কড়া নির্দেশ দিচ্ছে হাইকোর্ট । গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সহ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ-সহ অনেকে। CBI, ED-র জালে ধরা পড়েছে অনেক এজেন্ট এবং সাব এজেন্ট।
কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির আসল মাথারা ধরা পড়বে কবে? সেদিকেই যখন সবার নজর, তখনই গোটা ঘটনায় অন্য মোড় দিয়েছে একটি নাম...হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় ।
হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম প্রথম নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। যাঁকে 'রহস্যময়ী নারী' হিসেবে বর্ণনা করেছেন ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ।যিনি আসলে গোপাল দলপতির স্ত্রী।
জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী। তাঁর হাওড়ার বাড়ির সামনে ভিড় জমে। তাঁর মা জানান, মেয়ে এ সবের সঙ্গে জড়িত নন। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগও হচ্ছে না।
তবে সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে হৈমন্তীর গলায় শোনা যাচ্ছে অন্য সুর, "“কেউ একটা আমার নাম বলে দিল। সেটা যাচাই করা হল না? এই কুন্তলকে আমি চিনিই না।”।
তাঁকে গোপাল ও তাঁর যৌথ একাউন্ট এর বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, " “কখনও এমন অ্যাকাউন্ট ছিল না। আমি স্বাধীন। নিজের মতো কাজ করতাম, নিজের মতো চালাতাম। আমার সঙ্গে গোপালবাবুর অর্থের লেনদেন ছিল না। আমি ছোট থেকে লড়াই করেছি। কখনও কারও সাহায্য নিইনি।”
তাহলে কেন এত দেরি করে সামনে এলেন হৈমন্তী?হৈমন্তীর দাবি, এখন তিনি অনেকটা সামলে উঠেছেন। তাঁর কথায়, “এখন নিজেকে বুঝিয়ে অনেকটা শক্ত করেছি। জানি, আমার মুখ খোলা দরকার। কিন্তু, কথা বলার অবস্থায় না থাকলে বলব কী করে? বাড়িতেই বা কী বলতাম?” জানালেন, এখন বাবা-মায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “জানেন, আমার বাবা-মায়ের কী হাল! বাবা খুব সাধারণ অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী। এখন আপনাদের জ্বালায় বাড়ি থেকে দোকানে পর্যন্ত যেতে পারছেন না।”
তিনি আরও বলেন, “জানি না। মাথা কাজ করছে না। শুধু জোর দিয়ে বলতে পারি, আমি এর সঙ্গে (নিয়োগ দুর্নীতি) জড়িত নই। শুধু চাই, আমার পুরনো জায়গাটা ফিরে পেতে।”