কম দামী নকল আলু বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সম্প্রতি নকল আলু ছেয়ে গেছে বাজারে ।বেশি দাম দিয়ে যে আলু বাজার থেকে কিনে আনছেন ,জানেন সেটা আসল কি নকল ? দাম দিয়ে কিনতে যাচ্ছেন চন্দ্রমুখী আলু আর বাজার থেকে কিনে আনছেন ' হেমাঙ্গিনী ' আলু।হ্যাঁ ,হেমাঙ্গিনী আলু আর চন্দ্রমুখী আলু দুটি ই দেখতে অনেকটা একইরকম ।দুটি আলুর ই খোসা পাতলা । তাই বাইরে থেকে আলাদা করে চেনা টা একটু কঠিন ।আর এর ই সুযোগ নিয়ে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী রমরমিয়ে বিক্রি করছে এই হেমাঙ্গিনী আলু ।

হুগলির কৃষি সমবায় এর এক সদস্য বিষয় টি খোলসা করে সু বিস্তারে জানিয়েছেন আমজনতা কে ।হেমাঙ্গিনী আলু হলো দুটি আলীর ক্রস বিড।জ্যোতি আলু ও চন্দ্রমুখী আলুর ক্রস বিড করে এই আলুর সৃষ্টি হয়েছে ।পাঞ্জাব ও জলনধরে মূলত এই আলু চাষ হয় ।এই আলুর চাহিদা ও অনেক কম ।হাইব্রিড হওয়ায় এই আলুর উৎপাদন প্রক্রিয়া খুব সহজ ,এর ফলন ও অনেক বেশি এবং অন্যান্য আলুর থেকে পরিমাণে অনেক বেশি আলু উৎপাদন হয় ।খুব কম সময়েই এই আলু চাষ করা যায় ।চন্দ্রমুখী আলু চাষ হতে যেখানে ৪ মাস সময় লাগে সেখানে এই হেমাঙ্গিনী আলু চাষ করা যায় দেড় থেকে দু মাসে।যেখানে চন্দ্রমুখী আলু হয় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ,সেখানে এই আলুর উৎপাদন হয় ৯০ থেকে ৯৫ কেজি ।এই আলুর দাম ও চন্দ্রমুখী আলুর থেকে কম ।চন্দ্রমুখী আলুর দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি হলে এই আলুর দাম হয় ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি।তবে বাইরে থেকে এক রকম দেখতে লাগায় বাজারে এই আলু ই বেশি দামে চন্দ্রমুখী নামে বিক্রি হচ্ছে।গ্রামের মানুষ কে এ বিষয়ে সহজে ঠকানো না গেলেও শহর ও মফস্বল এ ভালই ছেয়ে গেছে এই হেমাঙ্গিনী আলু ।


এই আলু খুব একটা মানুষজন পছন্দ করে না ।কারণ ,এটি সেদ্ধ হতেও অনেক সময় লাগে আর স্বাদ এও খুব একটা ভালো না ।

 রাজ্যে এই আলুর বীজ আসে ভিন রাজ্য থেকে ।হুগলির পরশুড়া ও তারকেশ্বর অঞ্চলে এই আলুর চাষ হয় । 

হুগলি জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ  মনোজ চক্রবর্তী দুটি আলু আলাদা করে চেনার কয়েকটি উপায় বলেন ।তিনি বলেন ," চন্দ্রমুখী আলুর ভেতরের অংশ হালকা হলুদ বা বাসন্তী রঙের হয় কিন্তু হেমাঙ্গিনী আলুর ভেতরের অংশ হয় সাদা ।এছাড়াও চন্দ্রমুখী আলুর বাইরে চোখ বেরোলে সেটি আঙ্গুল দিয়ে চিপলে ' ফুট ' করে একটি শব্দ হয় যেটি অন্যান্য প্রজাতির আলুর ক্ষেত্রে হয়না " ।।

Journalist Name : Srimita Sasmal

Tags:

Related News