দিল্লিতে রেকর্ডভাঙা বৃষ্টিপাত :

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

প্রথমে আকাশ ছেয়ে ঘণ কালো মেঘ। তারপর রিমঝিম বৃষ্টি। দিল্লির পরিবেশ যেন লহমায় বদলে গেল। তীব্র গরমে স্বস্তি পেল দিল্লি। বৃষ্টি শুরু হতেই অনেকেই খুশিতে রাস্তায় নেমে এসে খানিক ভিজে নিলেন। যেন হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সঙ্গে ফের দেখা হল। প্রথমে কালো মেঘ ঢেলে দিল সূর্যকে। শ্যামল মেঘে ঢাকা পড়ল চারদিক। দেখতেই দেখতেই দিল্লি থেকে নয়ডা-সমগ্র জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে নেমে এলে আঁধার। তারপরই শুরু হল বৃষ্টি। প্রবল গরমে দিল্লিবাসীর হৃদয়ে তখন স্বস্তির ছোঁয়া। দিল্লি ও এনসিআরের বেশ কিছু এলাকায় আজ ভারী বৃষ্টি হয়েছে। নয়ডার আকাশেও ছিল ঘণ কালো মেঘ।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গত প্রায় অর্ধশত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটেছে। অতিভারী এই বৃষ্টিপাতের ফলে ডুবে গেছে শহরটির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বেশ কিছু এলাকা। এ কারণে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছে ফ্লাইটগুলো অন্য বিমানবন্দরে অবতরণের ব্যবস্থা করার। সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টির কারণে মাঝারি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উড়োজাহাজ রাখার জায়গাগুলি অধিকাংশই জলে ভরে গিয়েছে। দিল্লির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে,  ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে এরকমই এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে তারা। এদিকে শুধু দিল্লি বিমানবন্দর নয়, এর পার্শ্ববর্তী আরও কিছু এলাকা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে।

চারিদিকে জল আর জল। মানুষ এই বন্যার জেরে একেবারে নাজেহাল হয় পড়েছিল। করোনা সংক্রমণও উদ্বেগ বাড়াচ্ছিলো। বন্যার জেরে জলে হাসপাতালের বর্জ্য, ফেলে দেওয়া PPE কিট, কোভিড কেয়ার সেন্টারের বর্জ্য ভাসতে দেখা গিয়েছে ৷ এর ফলে জল জমা এলাকাগুলিতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল ৷ মেট্রোপলিটন এলাকা ও শহরে বন্যার মূল কারণ হল বহু পুরনো নিকাশি ব্যবস্থা এবং খারাপ রক্ষণাবেক্ষণ ৷ নিকাশি নালা পরিষ্কার না করা এবং বর্জ্য ও অন্যান্য আবর্জনা জমে যাওয়ার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় ৷ শহরে বন্যার আরও একটা বড় কারণ হল অবাধ নির্মাণ কাজ৷ এই ধরনের অবৈধ কাঠামোগুলিই দেশের প্রতিটি শহর ও নগরে বৃষ্টির জলের স্বাভাবিক প্রবাহমানতার কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ৷

অবৈধ নির্মাণ কাজ, শহরের পুকুর ও জলাশয় দখল করে তা ভরাট করা, অকার্যকর নিকাশি ব্যবস্থাই নগরায়ণের খারাপ দিক হিসেবে সামনে আসছে ৷ এর ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে ৷ প্রতি বছর বন্যা এড়িয়ে যাওয়া কার্যত সম্ভব হচ্ছে না ৷ তাই বন্যার হাত থেকে বাঁচতে গেলে নিকাশি ও বন্যার জল যাওয়ার জন্য তৈরি করা ক্যানেলগুলির দখলদারি কমাতে হবে ৷ প্রতি বছর বর্ষার আগে নিকাশি নালাগুলিকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিষ্কার করতে হবে এবং নালা আটকে যাওয়া ঠেকাতে হবে ৷

Journalist Name : Sayantika Biswas

Related News