করোনার সংক্রমণ অত্যধিক হারে বৃদ্ধির কারণে “ডিজিটাল প্রচার” করার নির্বাচন কমিশনের

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

দেশে ক্রমে বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ।এই কারণে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।শুক্রবার নতুন করে করোনা নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।ইসির তরফ থেকে নির্দেশ রয়েছে,কোভিড বিধি না মানলে বাতিল করা হতে পারে প্রচার সভা।
রাজ্যে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ।এদিকে গত ২৪ঘন্টায় বাঙলায় প্রায় ১৬হাজার মানুষ আক্রান্ত।স্বাস্থ্য ভবনের আভাস অনুযায়ী,বাঙলায় আক্রান্ত হতে পারে আরও মানুশ।তাদের খবর সুত্র অনুযায়ী ,সপ্তাহের মধ্যেই হয়ত আক্রান্ত হতে পারে ৩০ থেকে ৩৫হাজার মানুষ।এই অবস্থায় তাই আরও কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।ভোট প্রচারে বিভিন্ন নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে।আউটডোর জমায়েতের ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি করলো নির্বাচন কমিশন।সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী,২৫০জনের বেশি কাউকে নিয়ে সভা করা চলবে না।এই সংখ্যা আগে ছিল ৫০০ জন।সেটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের চার পুরসভায় ভোট কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে,বিভিন্ন রাজনৈতিক দল!যদিও এই বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ রাজ্য নির্বাচন কমিশন।সেই কারণে নির্বাচন কমিশন আউটডোর প্রচারের দিকে জোর না দিয়ে,জমায়েত এর সংখ্যা কমিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের উপর জোর দিতে বলেছেন।এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন মনে করছেন,যদি ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করা হয় তাহলে মানুষের জমায়েত অনেকটা কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।সেক্ষেত্রে সবার সুবিধা হবে বলে মনে করছেন কমিসন।কারণ জমায়েত না হলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।এছাড়াও,ডিজিটাল মাধ্যমে প্রার্থীরা অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবেন।

অন্যদিকে করোনার বাড়-বাড়ন্ত অবস্থায় ভোট পিছনোর দাবি জানাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধী দলও এই ভোট পিছানোর দাবি জানিয়েছেন।বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য -এর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জানিয়েছেন,আগামী ১৫ দিন  রাজ্যের জন্য  খুবই গুরুত্বপূর্ণ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন আগামী সাতদিন কেউ বাড়ির বাইরে বেরবেন না,তখন কেন এই পরিস্থিতিতে ভোট হচ্ছে!কিছুদিনের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হক।অন্তত এক মাস এর জন্য  ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা উচিৎ।করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভোট করা হবে।যতই নিয়ম বলবৎ করা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা শুধু হাতে-কলমেই আবদ্ধ,এমনই অভিযোগ রাজনৈতিক মহলের।

Journalist Name : Aditi Sarker

Related News