ফ্যারাওর সঙ্গী পাখি! মিশরের ধর্মীয় আচারে বিস্মিত বিশ্ব

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

মিশর মানেই রহস্যময় এক গোলকধাঁধাঁ। "মমি" থেকে শুরু করে "মমি রিটার্নস", কত হলিউড মুভি হয়েছে এই মিশরকে ঘিরেই। এই দেশের বালিতে মিশে আছে বহু অজানা তথ্য।  সাদা কাপড় প্যাঁচানো মৃত মানুষের আস্ত শরীর ‘মমি’ যেন সেইসব ঘটনারই জলজ্যান্ত সাক্ষী। 

  পিরামিডের মতো বিশাল সমাধির ঠিক তলায় পড়ে রয়েছে কোনো এক রাজার জড় দেহটি। নশ্বর শরীর যুগ যুগ ধরে দম আটকে রয়েছে ওই অন্ধকার মহলে। তবে মিশরীয়দের কাছে পবিত্রতম এক ধর্মীয় আচার ছিল এই মমির সমাধি। এক একসময় মনে করা হত মমি হওয়ার যোগ্যতা দেশের একমাত্র অধিপতি ফ্যারাওদেরই প্রাপ্য। কিন্তু সে ধারণাকেকে ভুল প্রমাণিত করে, রীতিমতো অবাক করে তুলল ইতিহাসবিদদের।

     দুটি ছোট আকৃতির কফিন যা খুলতেই বেরিয়ে পড়ে একটি ভিন্ন ধাঁচের পাখির মমি। সাথে কাদা আর কাঠ এবং বিভিন্ন গাছগাছালি দিয়ে তৈরী ছোট্ট মানুষের পুতুল আর প্রচুর পরিমান শস্য। তবে কি পাখিকেও মমি বানানোর চল ছিল মিশরীয় সভ্যতায়! গবেষণা বলছে   আইবিস নামের এক পাখি ছিল যাকে দেখতে খানিকটা বাংলার  কাস্তে বক গোছের। সাধারণত জলাশয়ের আশেপাশেই দল বেঁধে থাকত এরা। মিশরীয়দের  কাছে আইবিস পবিত্রতম পাখি হওয়ায় তার সৎকারও ঘটত মমির আকারেই। টুনা-এল-গ্যাবেল, সাক্কারার মতো জায়গায় যে কত লক্ষ আইবিস মমির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে তা গোনার বাইরে। আসলে মিশরীয়দের জ্ঞান, জাদু, বিচার ও লেখার দেবতা থথের অংশই হল এই আইবিস। দেবতা মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করলেই আইবিসকে ধরে মমির আদলে উৎসর্গ করা হত দেবতার পায়ে। 

       গবেষণায় দেখা গিয়েছে পাখি মিশরবাসীর কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার বিধাতা ছিল। তাই তাদেরও মানুষের মতোই সযত্নে গচ্ছিত করে রাখা হত । মমি তৈরিতে আয়োজন করা হত সেইসব জিনিসের যা কোনো ফারাও বা রাজার সমাধির পাশে সাধারণত শোভা পেত। এমনকি কখনো কখনো ফ্যারাওয়ের দেহরক্ষী হিসেবেও পাখিকে সমাধিস্থ করার চল ছিল প্রাচীন মিশরে। পাখি মমির এই আবিষ্কার, ২০১১ সালে দীর্ঘ সময়কালের সব থেকে বড় ঘটনার শিরোপা পেয়েছিল।


Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary