একঘেয়ে দার্জিলিং নয় ! ঘুরে আসুন পাহাড়ি গ্রামের নতুন ঠিকানায়

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আবহাওয়ায় তাপমাত্রা বাড়ছে হুড়মুড়িয়ে। বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪২° তে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নির্দেশ দিয়েছেন ছুটির। অব্যশই এই ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন ঠান্ডা কোনো জায়গা থেকে। 

     তবে প্রতিবারের মতো দার্জিলিং নয় , এবার ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়ি গ্রাম বানকুললুং থেকে। 

      ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বেশ জনপ্রিয় মিরিক। এই মিরিকের খুব কাছেই অবস্থিত বানকুলুং। আসলে মিরিকের বাসিন্দারা এই গ্রাম ব্যবহার করে চাষ জমি হিসেবে। মিরিকের গ্রাম থেকে সহজেই পায়ে হেঁটে পৌঁছানো যায় এখানে। মিরিক থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই বানকুলুং। আর যদি নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে আপনি বানকুলুং যেতে চান, তাহলে দূরত্ব মাত্র ৪৮ কিলোমিটার। তবে দুধিয়া হলে বানকুলুং গেলে একটু কম সময় লাগে। মিরিক হয়েও বানকুলুং যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে সৌরেনি যেতে হবে, সেখান থেকে বানকুলুং।


      বানকুলুংয়ের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে বালাসন ও মুরমাহ নদী। নদীর জলে পা ডুবিয়ে কাটাতে পারেন গ্রীষ্মের ছুটি। যাঁরা শহুরে কোলাহল ছাড়িয়ে নিরিবিলে ছুটি কাটাতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ এই ডেস্টিনেশন। বানকুলুংয়ে যে দিকে তাকাবেন সবুজের সৌন্দর্য আপনার চোখ জুড়িয়ে দেবে। তার সঙ্গে রয়েছে খোলা চাষ জমি। চোখ জুড়িয়ে দেওয়ার মতো এখানে রয়েছে ধানক্ষেত। সেই চাষ জমিতে ঘুরে গেলে নাকে গন্ধ ভেসে আসবে দারুচিনির। কারণ এই বানকুলুংয়ে দারুচিনিও চাষ হয়।

পায়ে হেঁটেই ঘুরে নিতে পারেন গোটা গ্রাম। চাষ জমি, নদী, সবুজ খোলা মাঠ-এই সব নিয়েই বানকুলুং। তার সঙ্গে রং-বেরঙের পাখি দেখারও সুযোগ রয়েছে। যাঁরা প্রকৃতির কাছাকাছি ছুটি কাটাতে চান তাঁরা এই গরমে ঘুরে যেতে পারেন বানকুলুং থেকে। দার্জিলিংয়ের এত কাছে যাচ্ছেন আর চা বাগানের দেখা পাবেন না, তা কী করে হয়। বানকুলুং আপনাকে সেই সুযোগও দেবে। গ্রামের শেষ প্রান্তেই রয়েছে মুরমাহ চা বাগান। তার আরেকটু দূরে রয়েছে গয়াবাড়ির চা বাগান। হাতে সময় থাকলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন দুধিয়াও। আর কাছেই রয়েছে একটি মঠ। সেখানেও ঘুরতে যেতে পারেন।

     বছরের যে কোনও সময়ই আপনি আসতে পারেন বানকুলুংয়ে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে অনেকেই বর্ষাকালে বানকুলুং এড়িয়ে যায়। তবে, বর্ষায় বালাসন ও মুরমাহ ঘেরা বানকুলুংয়ের অন্যরূপ দেখা যায়। বানকুলুংয়ে থাকার জন্য একাধিক হোমস্টেও পেয়ে যাবেন। অ্যাডভেঞ্চারের ইচ্ছা হলে তাঁবুতেও রাত কাটাতে পারেন। আর যদি বানকুলুংয়ে রাত কাটিয়ে মিরিক ও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখতে চান, তাহলে এই বানকুলুং থেকে অনায়াসে গাড়ি পেয়ে যাবেন।

Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary

Related News