পাক বোলারদের দাপটে চাপে ভারত, টসে জিতে পাকিস্তান প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়

banner

#Dubai:

দুবাইয়ের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন পেসার দুই স্পিনারে নামছে টিম ইন্ডিয়া| প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ বিরাট কোহলিদের| প্রতিবারের মতো এদিনও টস জিততে পারলেন না বিরাট কোহলি| টস জিত প্রথমে ভারতকেই ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেন বাবর আজম| এদিন ম্যাচের শুরু থেকে অন্যান্য বিষযের সঙ্গে টসের দিকেও নজর ছিল সকলের| শিশির সমস্যার জন্য রান তাড়া করারই লক্ষ্য ছিল বিরাট কোহলিরও| যদিও সেসব নিয়ে আপাতত তিনি ভাবছেন না|

 

আউট সূর্যকুমার যাদব| হাসান আলির বলে সাজঘরে ফিরলেন সূর্য| মাত্র ১১ রানেই থামতে হল ভারতের তরুণ তারকাকে…

 

বহু প্রতীক্ষিত মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত। রবিবাসরীয় মহারণে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। রীতিমতো তেতে উঠছে মঞ্চ। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পরিণত হতে চলেছে রণাঙ্গনে। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বনাম বাবর আজমের (Babar Azam) ডুয়েলের দিকে তাকিয়ে গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। দুই দেশের ফ্যানেদের মধ্যে এই ম্যাচ ঘিরে আবেগ অন্য পর্যায়ে।

ইতিহাস বলছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বরাবরই এক নতুন তারকার জন্ম দিয়েছে। অভিজ্ঞদের ভিড়ে ফিনিক্স পাখির মতো আবির্ভাব হয়েছে কোনও এক নতুন তারার।

দেশের জার্সিতে সব ফর্ম্যাটেই আজ অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারেন জসপ্রীত বুমরা ।

আজ এই ম্যাচে বুমরা এক অনন্য মাইলস্টোন স্থাপন করতে পারেন। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বুমরা যদি পাঁচ উইকেট তুলে নিতে পারেন, তাহলে দেশের জার্সিতে বুমরাই হয়ে যাবেন টি-২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বুমরার এখনও পর্যন্ত ৪৯টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫৯টি উইকেট নিয়েছেন। আর পাঁচ উইকেট পেলে বুমরা টপকে যাবেন যুজবেন্দ্র চাহালকে (Yuzvendra Chahal)। চাহালের ঝুলিতে আছে ৬৩টি উইকেট। বুমরা আজ এই নজির গড়তে না পারলেও তাঁর কাছে সুযোগ থাকছে চাহালকে টপকে যাওয়ার।

অধিনায়ক হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার শেষ সুযোগ। কেরিয়ারের গোল্ডেন পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে না গেলেও বড় মঞ্চে বিরাটের জ্বলে ওঠার রেকর্ড নতুন না। অতীতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটা ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছেন। এবারও মেন ইন গ্রীনদের বিরুদ্ধে সেই গোল্ডেন টাচ ফিরে পেতে মরিয়া থাকবেন।

বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম ধারাবাহিক ওপেনার। সাদা বলের ক্রিকেটের সেরা ওপেনিং ব্যাটার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচের বিধ্বংসী ইনিংস মনোবল তুঙ্গে রাখবে। প্রত্যেক মেগা ইভেন্টে সেন্টারস্টেজ নিয়ে নেন কোহলি। কিন্তু দেখতে গেলে শুরুতেই হিটম্যান নিজের অসামান্য স্টাইলে বিপক্ষের তাবড় তাবড় বোলারদের গুঁড়িয়ে দেন। মঞ্চ তৈরি করে দেন তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপে দুর্ধর্ষ ফর্মে ছিলেন। পাঁচটা শতরান করে রেকর্ডবুকে নাম তোলেন। পাওয়ার প্লেতে প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ ধ্বংস করে দিতে পারেন।

৯৬ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালের ঘটনা। ভেঙ্কটেশ প্রসাদ আমির সোহেলর লড়াই আজও বাইশ গজে চর্চিত। সেদিন বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামীতে ভারতের ২৮৭ রানের জবাবে পাকিস্তান ২৪৮ রান তুলতে সমর্থ হয়েছিল নির্ধারিত ওভারে। ভারত ৩৯ রানে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল। প্রসাদ ৪৫ রানে তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তাঁর অন্যতম শিকার ছিল পাক ওপেনার আমির শোহেল। তাঁর উইকেট ছিটকে দিয়েছিলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিনের দলের স্টার বোলার।

পাকিস্তানের ৪১ বলে ৪০ রান দরকার ছিল। ইনজামাম শ্রীসন্থের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করেছিল। সুরেশ রায়না বল থামিয়ে স্টাম্পে থ্রো করেন। ইনজামাম ব্যাট দিয়ে বলের রাস্তা আটকে দিয়েছিলেন। এরপর আসাফ রাউফ সাইমন টফেল আলোচনা করার পর ইনজামামকে আউট দেন। ব্যাট দিয়ে বল থামানোয় আউট হয়েছিলেন ইনজি। এই ঘটনা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। ইনজি অগ্নিশর্মা হয়ে গিয়েছিলেন আউটের পর।

২০০৭ সালের একটি ওয়ানডে ম্যাচের ঘটনা। গৌতম গম্ভীর চার মেরেছিলেন শাহিদ আফ্রিদির বলে। এরপর গম্ভীর-আফ্রিদির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। গম্ভীর তখন আফ্রিদিকে জবাব দেননি। কিন্তু ওই ওভারেই রান নেওয়ার সময় আফ্রিদির সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায় গম্ভীরের। এরপর পরিস্থিতি বেগতিক হলে আম্পায়াররা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

২০১০ এশিয়া কাপের ঘটনা। পাক উইকেটকিপার কামরান আকমল জোরাল আবেদন করেছিলেন গম্ভীরের ক্যাচের। আম্পায়ার এই আবেদনে সাড়া দেননি। এরপর ড্রিঙ্কস ব্রেকে গম্ভীর কামরানের বাগযুদ্ধ চরম পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল। এরপর আম্পায়ার বিলি বাওডেন এমএস ধোনি আলাদা করেন গম্ভীরকে।

Journalist Name : Abhinaba Poddar

Related News