পৃথিবী ও মঙ্গল নিয়ে মিলেছে নতুন তথ্য; সৌরজগতের এই খবর বিস্তারিত জেনে নিন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আমাদের জীবনে ভূগোল বিষয়টির গুরুত্ব এককথায় অপরিসীম। এছাড়াও আমাদের সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন ভৌগলিক তথ্যের বিষয়ে আগ্রহ দিনের পর দিন বাড়তে থাকছে। গবেষণাবিদদের দীর্ঘ গবেষণার পর মহাকাশের সমস্ত গ্রহ, উপগ্রহের খুঁটিনাটি নানা তথ্য পাওয়া যায়। সৌরজগৎ নিয়ে মানুষের মনে কৌতুহল এবং প্রশ্নের কোনো দিন কোনো শেষ নেই। জানেন আপনারা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল মহাজগৎ ? কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবী এবং মঙ্গল ? কোথা থেকেই বা এল এই সমস্ত পদার্থনিচয় ? এই নিয়ে বহু গবেষণাবিদদের বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে।
যে গ্রহে আমরা বসবাস করি, তা হল পৃথিবী। পৃথিবী সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য কম-বেশি আমরা সকলেই জানি। কিন্তু, পৃথিবীর খুব কাছাকাছি অবস্থিত মঙ্গলগ্রহ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। মহাকাশ গবেষকদের মতে পৃথিবীর পর একমাত্র এই গ্রহেই মানব বসতি গড়ে উঠতে পারে বলে আশা করা যায়।
▪︎ জেনে নিন মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে বহু অজানা তথ্য:-
মঙ্গল হল সূর্য থেকে চতুর্থ দূরবর্তী গ্রহ, যা পৃথিবীর ঠিক পরে সূর্যের বিপরীতে অবস্থিত। এর অপর একটি নাম হল মার্স( Mars ). মঙ্গলকে অনেক সময় লাল গ্রহ বলে অভিহিত করা হয়। কারণ, কারণ এই গ্রহের মাটি আয়রন অক্সাইড এর সমন্বয়ে গঠিত, যাকে মরিচা বলা হয়। সৌরজগতে পৃথিবীর পরেই বিজ্ঞানীদের পরম আগ্রহের গ্রহ হল মঙ্গল গ্রহ। কারণ পৃথিবী ব্যতীত সৌরজগতে একমাত্র এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব হতে পারে বলে মরে করেন বিজ্ঞানীরা।
▪︎ মঙ্গলের বৈশিষ্ট্যগুলি হল :-
মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ, ফোমাস এবং ডিমোস। এগুলি নিজ অক্ষের উপগ্রহ এবং এই উপগ্রহ গুলির তাপমাত্রা –১৪০ ডিগ্রি সেঃ থেকে ২০ ডিগ্রি সেঃ পর্যন্ত। এ দুটির গড় তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই গ্রহের বায়ুমণ্ডল মূলত কার্বন-ডাই-অক্সাইড। ব্যাস - ৬৭৯৬ কিলোমিটার। আপেক্ষিক ঘনত্ব - ৩.৯। সূর্য হতে এর দূরত্ব ২২৭.৯ মিলিয়ন কিলোমিটার। মঙ্গলে যাত্রাকারী প্রথম যান হল ম্যারিনাফোর ( ১৯৬৫ )। তবে মঙ্গলে অবতরণকারী প্রথম মহাকাশযান হলো মার্স। মার্স ২ ( ১৯৭৬ )। এরপর দীর্ঘ বছর বিরতির পরে ১৯৯৭ সালে মঙ্গলে অবতরণ করে পাথফাইন্ডার। বলা হয়, পাথফাইন্ডার হল সবচেয়ে সফল মঙ্গল অভিযান। সর্বশেষ ২০০৮ সালে ফিনিক্স মঙ্গলে অবতরণ করে। এবং এরপর আর কোনো অভিযান মঙ্গলে হয়নি কিন্তু গবেষকরা এখনো পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহ নিয়ে বিশেষভাবে আগ্রহী দিনের পর দিন তারা মঙ্গল গ্রহ সম্বন্ধে আরো নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করছেন।

সম্প্রতি গবেষকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয় দাবি জানিয়েছেন, পৃথিবীর ও মঙ্গলের সৃষ্টি নিয়ে মিলছে নতুন তথ্য। কিন্তু সেই নতুন তথ্যটি কি ? এই গবেষণায় বলা হয়েছে, যখন মহাবিশ্বে এই, 'আওয়ার সোলার সিস্টেম' ক্রমশ তৈরি হচ্ছে, আমাদের সৌরজগতে তখন যে গ্রহগুলি সৃষ্টি হয়েছিল, তখন সেই গ্রহগুলি বিভিন্ন বস্তুখন্ডের পরস্পরের মধ্যে দুঃসহ সংঘাত ঘটেছিল। এভাবেই একটি মহা সংঘাতের ফলে সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবী এবং মঙ্গলের। এছাড়াও পৃথিবী ও মঙ্গলের সৃষ্টি নিয়ে আরো বহু মতবাদ রয়েছে।পৃথিবী ও মঙ্গলের সৃষ্টির সময় মহাকাশে থাকা আরো অন্যান্য নির্ণয়মান গ্রহগুলির সমস্ত বস্তুপুঞ্জ যে শুধু নিজেদের সৌরবলয় থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এসেছিল তা নয়, বেশ কিছু বস্তুপুঞ্জ সোলার সিস্টেমের বাইরে থেকেও এসেছিল।

প্রায় অনুমান করে বলা যায়, পৃথিবীর ভূমি নমুনা এবং ধুমকেতু জাতীয় গ্রহাণুর বস্তু নমুনায় আইসোটোপ নিরীক্ষা করা হয়েছিল। সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোকে বিশেষভাবে তুলনা করে শেষমেষ এই সিদ্ধান্তে আসা গেছে যে, দুটি বস্তুপুঞ্জ একে অপরের সংঘাতের ফলেই পরস্পর পরস্পরের মধ্যে বস্তুর চিহ্ন থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই সমস্ত নমুনার চিহ্নগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এটাও বোঝা সম্ভব হয়েছে যে, সমস্ত বস্তুই এই সোলার সিস্টেমের নয়। এতে যোগ হয়েছে আরো অন্য বহু পদার্থ। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায়, এই গ্রহ সৃষ্টি হয়েছে আন্তঃসৌরজগত ও বর্হিঃসৌরজগতের মিলিত মিশ্রণের ফলে।

Journalist Name : Sutapa Dey Sarkar