“রাজ্য
সরকার ১৯শে ডিসেম্বর কলকাতা
ও হাওড়ায় পুরভোট করাতে চায়” এমনটাই আগ্রহ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠায় গত
মঙ্গলবার । রাজ্যসরকারের পক্ষ
থেকে ১৯শে ডিসেম্বর ভোট
এবং ২২শে ডিসেম্বর ভোট
গননার কথা জানিয়ে নির্বাচন
কমিশনকে চিঠি দেওয় হয়।
রাজ্যের মতামতের পরিপেক্ষিতে, ঠিকমতো এগোলে আগামী ১৯শে ডিসেম্বরই রাজ্যে হতে চলেছে পুরভোট । রাজ্য থেকে পুরভোটের দিনক্ষণ এবং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বলে জানান হয় । একুশে ভোটের আগে যে ভোটার তালিকা হয়েছিল সেই তালিকা অনুযায়ী ভোট করা হবে । গত ১লা নভেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে, যা আগামী ৫ই জানুয়ারী শেষ হবে তাই সরকার সিধান্ত নিয়েছে পুরানো ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট করা হবে । পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে ডিসেম্বর তৃতীয় সপ্তাহে রাজ্যে পুর ভোটের আর্জি জানানো হয় নিবাচন কমিশনকে । তবে কমিশনার সৌরভ দাস কলকাতার বাইরে থাকায়, সেই চিঠি পৌঁছেছে কি না জানা যাইনি! পুরভোট নিয়ে পুরমন্ত্রি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন,” ভোট হবে । এই নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সরকারি অধিকারিকদের প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে”।
গত বিধানসভায় যে ভোটার তালিকা
প্রকাশ হয়েছিল তার ওপর ভিত্তি
করে পুরভোট করা হবে ।
ভোট সংশোধন ইতিমধ্যে ১লা থেকে শুরু
হলেও সেই কার্যক্রম শেষ
হবে ৫ই জানুয়ারি ।
তাই পুরানো ভোটার তালিকা সামনে রেখেই রাজ্যে পুরভোট শুরু হতে চলেছে
।
রাজ্যে নতুন দুটি পুরসভা যুক্ত হতে চলেছে। উত্তরবঙ্গের ফালাকাটা ও ময়নাগুরি দুটি পুরসভা এবারের পুরভোটের সাথে যুক্ত হতে চলেছে । এছাড়া এখন রাজ্যে মেয়াদ শেষ হওয়া পুরসভার সংখ্যা ১১২টি । প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, রাজ্যে প্রতিবারের কলকাতা পুরসভার ভোট আলাদাই হয়েছে । বিধানসভার ভোটের মতই এই পুরসভার ভোটও সমান গুরুত্বপূর্ণ। পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “পুরভোট হবে, এই নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সাথে পুর ও নগরোন্নয়ণ দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক হয়েছে। সেখানেই সিধান্ত হবে”। মন্ত্রী পরিষ্কার জানান, পুরভোট নিয়ে মন্ত্রীসভায় আলোচনা হয়না।
নবান্ন
সুত্রে খবর, পুরভোট ইভিএম
করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার ফলে নির্বাচন
কমিশন তাদের ইভিএমগুলি ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে পরীক্ষা করানোর
উদ্যোগ নিচ্ছেন।