যোগীর বিরুদ্ধে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে মনোনয়ন জমা দিলেন এক সমাজ কর্মী

banner

#pravati sangbad digital desk:

সামনেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে সরগরম উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। ভোটের আগেই উঠে আসছে নানান অত্যাচার দুর্নীতির ছবি। ২০১৯ সালের সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদের থেকে রীতিমতো জোর করে আদায় করা হচ্ছে টাকা। কোথায় আছে উত্তরপ্রদেশ যার দিল্লির প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার তার, অর্থাৎ দেশের রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ তা আর বলার জায়গা রাখে না। কিছু মাস আগে উত্তরপ্রদেশ থেকে ঘুরেও এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উদ্বোধন করেছেন কাশি বিশ্বনাথ করিডরের। উদ্বোধনী মঞ্চে দাঁড়িয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগীর প্রশংসাই পঞ্চমুখ হতেও দেখা গেছিলো তাকে। তার পরে জল অনেক গড়িয়েছে, সমাজবাদী পার্টির কিরণময় নন্দ এ রাজ্যেও এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক করতে। দেশের সমস্ত রাজনৈতিক শক্তি এখন একজোট হতে চাইছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে, আর তার প্রধান মুখ বলতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যত প্রায় প্রতিদিনই দিল্লি থেকে উড়ে এসেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সকলেই, কিন্তু বিশেষ লাভ হয়নি। বিপুল আসনে জয় লাভ করে ঘাসফুল শিবির, যা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের থেকে শুরু করে দেশের তাবর তাবর রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদের কাছেও চর্চার বিষয়। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে ভারতীয় সমাজবাদী পার্টি জন্য পূর্ণ সমর্থনও জানিয়েছেন তিনি।

তবে এবার উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে থাকছে এক নতুন চমক। গোরক্ষপুর আসনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানে নেমে পরেছেন এক প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক। বিগত ২৬ বছর ধরে দুর্নীতি দমনের জন্য ধর্না দিয়ে ছলেন এই প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক বিজয় সিং, কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি, তাই এবার সরাসরি ভোটের ময়দানে। স্কুল শিক্ষকের পাশাপাশি বিজয় বাবু একজন সমাজ কর্মী। তিনি বলেন, অখিলেশ যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অবৈধ বালি চোরা কারবারিদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি, চোরা কারবারিরা অনেক জমি দখল করে নিয়ছেন, তাই ভারতীয় জনতা পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টির দুই প্রধান মুখের বিরুদ্ধে তিনি জয় লাভ করতে চান। তিনি আরও জানিয়েছেন, “ গত ২৬ বছর ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার হয়েছি, কিন্তু তাতে কোন রাজনৈতিক দলেরই কোন হেলদোল নেয়, তায় সাধারণ মানুষের কাছে আমি দুর্নীতির বার্তা পৌঁছে দেব, যাতে তারা সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন ১৯৯৬ সালের এক ঘটনা তার জীবনের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনে, তিনি বলেন, একটি পথ শিশু খাবারের জ্বালায় কাঁদছিল, আর তার মা অসহায় হয়ে বসে ছিল, এই রকম তো হওয়ার ছিল না।“ তিনি বহুবার দেখাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগীর সাথে কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। তাই তিনি শেষপর্যন্ত নির্বাচনের পথকেই বেঁছে নিয়েছেন। মুজাফফারনগরের এক কুঁড়ে ঘরে তার বাস, ঘরের দেওয়ালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে ভগত সিং অনেক মহামানবের ছবি। মূলত তাদের আদর্শের পথকেই অনুসরন করে চলেছেন এই বৃদ্ধ প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক।

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Tags:

Related News