রাহুলের ডাক্তারি পড়ার খরচ দেবে সরকার

banner

#pravati sangbad digital desk:

রাহুলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তারি পড়ার, কিন্তু অভাবের সংসারে তা এত দিন হয়ে ওঠেনি, তবে আসামের বাজালি জেলার পাতাচারকুচির বাসিন্দা রাহুল দাসের স্বপ্ন পূরণের ভার নিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, তিনি ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মেধাবি ছাত্র রাহুলের ডাক্তারি পড়ার খরচা বহন করবে রাজ্য সরকার। বহু বছর হল বাবা মারা গিয়েছেন, অভাবের সংসারে দুই ভাই আর মায়ের আশ্রয়। রুজি রোজগার বলতে ছোট একখানা চায়ের দোকান। ২০১৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেন, ভালো নম্বর থাকা সত্ত্বেও অভাবের তাড়নাই পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন রাহুল। দীর্ঘ দুই বছর মতো পড়াশোনা ছেড়ে চায়ের দোকানে মায়ের সাথে কাজ করতেন রাহুল। কিন্তু ভাগ্যের কি করুণ পরিহাস, দুর্ভাগ্য বসত হঠাৎ একদিন হাত পুরে যায় রাহুলের, তার পরে সরকারি প্রতিবন্ধী শংসাপত্র মেলে। তবে মা দেবযানী দাস চেয়েছিলেন ছেলের পড়াশোনা যাতে কোন ভাবেই বন্ধ না হয়ে পরে অভাবের কারণে, তাই ভর্তি হয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে, প্রায় ৮৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে এক বহুজাতিক সংস্থায় ভালো মাইনের চাকরিও পান রাহুল। কিন্তু ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল ইঞ্জিনিয়ার নয় ডাক্তার হবে সে। তবে অভাবের সংসারে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার কোনটাই অর্থ সাপেক্ষ নয়।

মা আগে থেকেই জানতেন ছেলের ইচ্ছের কথা, তাই ছেলের ইচ্ছেকে সাধুবাদ জানিয়ে ডাক্তারি পড়ার জন্য সাহস দেন মা। রাহুল মায়ের কথা মতো বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে আবার ডাক্তারি পড়ার জন্য পড়াশোনা করতে শুরু করেন, নিটে বসেও ছিলেন তিনি। তার পরেই চমক, জীবনে প্রথমবার অল ইন্ডিয়া এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসে র‍্যাঙ্ক করে ১২ হাজার ৬৮, সাথে ছিল প্রতিবন্দি শংসাপত্র এবং তপসিলি শংসাপত্র তাই সুযোগ মিলেও যায়। নয়া দিল্লির এমসে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে সে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জানান রাহুলের ডাক্তারি পড়ার সমস্ত খরচ দেবে রাজ্য সরকার। রাহুল জানিয়েছেন, জেলাশাসক ভারতভূষণ দেব চৌধুরীর এক বাড়িতে থাকেন তারা, মেধাবী ছাত্রের জন্য জেলাসাশক কোন অর্থ নেন না, তিনি আরও বলেন তাদের অভাবের জন্য এগিয়ে আসে স্থানীয় ব্যবসায়ী মন্টুু শর্মা, স্থানীয় বাজারে তার হার্ডওয়্যারের দোকান, দোকানের পাশেই এক ফাঁকা জায়গাই চায়ের দোকান করেন রাহুলের মা দেবযানী দাস, কিন্তু মন্টূ বাবু কোন দিন তাদের কাছে দোকানের ভাড়ার টাকা নেননি। রাহুল আরও বলেন, তার স্বপ্ন পূরণের জন্য তার মা জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন, মায়ের কৃতিত্ব কোন দিন ভোলার নয়।

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Tags:

Related News