“খেলা হবে, আবার শুধু উন্নয়নের খেলা হবে।” – জয়দেব নস্কর

banner

#Exclusive Candid Interview:

●● "নমস্কার দাদা, আপনার রাজনৈতিক জীবনযাত্রা শুরু কি ভাবে যদি একটু বলেন?"
●● "আমি ১৯৯৫ সালে রাজনীতির জগতে পা রাখি। ২০০৫ সালে আমি তৃণমূল কংগ্রেস দলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়াই। কিন্তু সেই সময় বামপন্থীর রাজ চলছিল, এবং সেই নির্বাচনে তাদের সন্ত্রাসের শিকার হয়ে আমাকে হেরে যেতে হয়। তারপর ২০০৬ সালে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের দলের জেনারেল সেক্রেটারি হই, এবং আস্তে আস্তে ২০১০ সালে থেকে আজ অব্দি আমি বিধাননগর যুব তৃণমূল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে আছি। বামপন্থীর সন্ত্রাস আমাকে ২০০৫ সালের নির্বাচনে পরাজিত করলেও ২০১৫ সালে আমি ভগবানের এবং মানুষদের আশীর্বাদ নিয়ে বামফ্রন্টদের সন্ত্রাসকে পরাজয় করে ৩৫ নং ওয়ার্ডের পৌর-প্রতিনিধি হই।" 


●● "সামনেই পুরভোট তো আপনার কি মনে হচ্ছে যে ৩৫নং ওয়ার্ডের জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ করতে পেরেছেন  আপনি?"
●●  "আমি যখন ২০১৫সালে পৌর-প্রতিনিধি হয় এই ৩৫নং ওয়ার্ডে আসি, তখন দেখতে পাই যে এখানকার রাস্তা-ঘাটে অবস্থা খুবই খারাপ। উঁচু-নিচু, এবড়ো-থেবড়ো কাঁচা রাস্তা, ছিলো। আমার গাড়ি যখন এই রাস্তা দিয়ে যেতো, আমি ভাবতাম আমি যেনো গাড়ি চেপে পাহাড়ি খরা-খরা রাস্তায় চলছি। মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তাদের কাছে  আমি পাকা রাস্তা তুলে দেবো, সেটা আমি সম্পূর্ণ পূরণ করতে পেরেছি। বাচ্চাদের খেলার জন্য একটি সুন্দর পার্কের ব্যবস্থা করেছি। এখানে ৩৫নং ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি স্ট্রিট-লাইট আমি সম্পূর্ণ এল ই ডি লাইটে ভরিয়ে তুলেছি। এই সুকান্তনগর হাই স্কুল বিদ্যাপীঠের জন্য আমি নিজের কাউন্সিলর লেড থেকে ফান্ড দিয়েছি যাতে এই স্কুলটিকে আরো বেশি করে অভিনব পদ্ধতিতে গড়ে তোলা যায়।" 
●● "সুকান্তনগর এই এলাকাটি পুরোটাই সল্টলেক এলাকার মধ্যেই পরে, কিন্তু তাও এই সুকান্তনগর এলাকাটিকে মানুষ ভিন্ন ভাবে দেখে বা এটিকে প্রচলিত কিছুটা গ্রাম্য এলাকা বলেই ভাবে মানুষ, এই সম্পর্কে কি বলতে চাইবেন?"
●● "দেখুন, এই বিধাননগরের পরিকাঠামো আর এই সুকান্তনগর এলাকার কিছু ওয়ার্ড যেমন ৩৫নং, ২৮নং, ৩৬নং, এদের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ আলাদা। বিধাননগর হলো পুরোপুরি একটি সাজানো গোছানো সুন্দর একটা রাজ্য বলতে পারেন, সেখানকার জল নিকাশি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট, পরিবেশ, সবটাই বেশ পরিচ্ছন্ন,  কিন্তু এই সুকান্তনগর হলো পুরোপুরি আলাদা। এখানে বেশ কিছু এলাকা এখনো গ্রাম্য। এটা অত সাজানো গোছানো নয় বিধাননগর এলাকার মতো। এখানে একটি খাল আছে যার এক প্রান্তে রয়েছে বিধাননগর এবং  ওপর প্রান্তে রয়েছে  সুকান্তনগর। বিধাননগর এবং সুকান্তনগরের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ আলাদা হওয়ার কারণেই এদের আলাদা ভাবেই দেখা হয়।"
●● "কোভিড সতর্কতা নিয়মাবলী কতটা মেনে চলছেন ভোটের প্রচারে ?"
●● "অনেকটাই মেনে চলছি করোনার সতর্কতা কারণ দেখুন মানুষ সুস্থ ভাবে বাঁচবে এটাই হলো আসল জিনিস। মানুষের প্রাণ বাঁচানো আগে দরকার। করোনার জন্য সরকার থেকে জারি করা সর্তকতার কথা মাথায় রেখেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কিছুটা পরেই আমি এই প্রথম  জন-জমায়েত করছি। মুখে মাস্ক, হাতে স্যানিটাইজার, সর্বক্ষণ কাছে রাখছি নিজের, জনগণকেও বলছি তারা যেন নিজেদের সাবধানে রাখেন, যতটা সম্ভব দুরত্ববিধি মেনে চলুন।"

●●° নির্বাচনে জেতার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী আপনি?"
●●" দেখুন, ভোটে জিতবো কিনা সেটা তো জনতাই ঠিক করবে। আমি তাদের আশীর্বাদ, ভালোবাসা নিয়ে তাদের জন্য কাজ করে যেতে চাই। আমার কাছে আগে কাজ, আমি কাজ করে যেতে চাই, ফল কি হবে না হবে সেই নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।"
●● "জনতার কি দাবি আপনার কাছে?"
●● "জনগণের একটাই দাবি উন্নয়ন। ২০১৫ সাল থেকে এখনও অব্দি আমি প্রচুর উন্নয়নের কাজ করে গেছি, এলাকার বাসিন্দারা খুবই সন্তুষ্ট আমার কাজে। আমাকে সামনে দেখলে ঘরের ছেলের মতো ভালোবেসে বুকে জড়িয়ে ধরে, কেউ কেউ মাথায় হাত রেখেও বলে 'তুমি এমনি কাজ করে যেও, জয়ী হও', তাদের এই ভালোবাসা আমার কাছে খুবই মূল্যবান। এই ভালোবাসার কোনো তুলনাই হয় না।"
●● "জেতার পরের পরিকল্পনা কি আপনার?"
●● "নির্বাচনে জিতে আসার পর আমি এই এলাকার মানুষদের জন্য বিনামূল্যে এম্বুলেন্স পরিষেবার ব্যবস্থা করবো। ইতিমধ্যেই সেই কাজ বেশকিছুটা হয়েই এসেছে। আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস দলের কর্মী ডা.কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে চিঠি দিয়েছিলাম। আমাদের এই বিনামূল্যে এম্বুলেন্স পরিষেবার ফান্ডের টাকা ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। খুব শিগগিরই সেই পরিষেবা এলাকাবাসীদের জন্য শুরু হয়ে যাবে। 
তাছাড়া আমি এলাকাবাসীদের কথা দিচ্ছি খুব শিগগিরই মিষ্টি পানীয় জলের ব্যবস্থা আমি করবো।"

Journalist Name : Sayantika Biswas

Tags:

Related News