বাংলা
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভাদ্র, আশ্বিন মাস পেরিয়েই সমাগম
ঘটে কার্তিক মাসের। আর বাংলার এই
১২ টি মাসের মধ্যে
অন্যতম শ্রেষ্ট মাস ধরা হয়
কার্তিক মাসকে। এই মাসে পুত্রসন্তান
কামনায় কার্তিক পুজো করা হয়
বলে একে পুরুষোওম মাসও
বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও
হিন্দু শাস্ত্র মতে ধন সম্পত্তি
অর্জন এবং সুখ শান্তি
পাওয়ার জন্য ও দান
করার জন্য এই মাস
সর্বশ্রেষ্ঠ। কারণ কথিত আছে
এই মাসে যদি লক্ষ্মী
দেবীকে সন্তুষ্ট রাখা যায় তাহলে
সারা বছর তার কৃপা
পাওয়া যায়। পাশাপাশি আপনি
যদি বিষ্ণু ও শিবের ভক্ত
হন তাহলে এই মাস আপনার
জন্য অনুকূল। তাই এই মাসে
নিষ্ঠা সহকারে কিছু নিয়ম পালন
করলে দেবাদিদেব মহাদেব ও দেবী দূর্গা
তুষ্ট হন সহজেই। অতয়েব
আপনার ওপর ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি
বজায় রাখতে গোটা কার্তিক মাস
জুড়ে মেনে চলুন কিছু
নিয়ম। জানুন কী কী করবেন।
১. চেষ্টা করুন কার্তিক মাসে
সূর্য উদয়ের আগে স্নান করার।
এতে করে জীবনে যাবতীয়
বাধা কেটে যাবে ও
জীবনে উন্নতি ঘটবে।
২. এছাড়াও বাড়ির কাছাকাছি পবিত্র নদী থাকলে সেখানে
প্রতিদিন স্নান করাও খুব মঙ্গলজনক।
আর স্নান করার আগে জলে
আঙ্গুল দিয়ে ওঁ লিখুন।
নদীতে যাওয়া সম্ভব না হলে বাড়িতে
বাথরুমে রাখা বালতির জলে
ওঁ লিখুন। এতে করে শরীরে
থাকা নেগেটিভ শক্তি দূর হবে এবং
গ্রহ দোষ কেটে যায়।
৩. গোটা কার্তিক মাস
জুড়ে সন্ধ্যা বেলায় পূর্বপুরুষদের শান্তি কামনায় প্রদীপ জ্বালান। এতে করে জীবনের
সকল বাধা কেটে যাবে।
৪. এই মাসে বাড়িতে
কিংবা বাইরে আপনার থেকে কেও সাহায্য
চাইলে ফেরাবেন না, সাধ্যমতো দান
করুন। তবে তা আর্থিক
সাহায্য এমনটা নয়। নিজের সাধ্য
মতো যা পারবেন তাই
দান করুন। তাতে আপনার এবং
আপনার পরিবারের মঙ্গল হবে।
৬. এই মাস জুড়ে
নিয়মিত ঘর বাড়ি পরিষ্কার
রাখুন। সেই সঙ্গে সকালে
ঘুম থেকে উঠে সদর
দরজার সামনেটা জল দিয়ে ধুয়ে
দিন।
৭. সমগ্র কার্তিক মাস জুড়ে সকালে
ঘুম থেকে উঠে সবার
প্রথম ঠাকুর পুজো সেরে নিন।
তার পর ঘরের কাজে
মন দিন। এর ফলে
সংসারের যাবতীয় অশান্তি দুর্দশা কেটে যাবে খুব
সহজেই।
তাহলে
আর দেরি কিসের জীবনে
সুখ শান্তি বজায় রাখতে ও
ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি বজায় রাখতে পুরো
কার্তিক মাস জুড়ে পালন
করুন এই কয়েকটি নিয়ম।
যার দরুন জীবনের সমস্ত
বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবেন খুব
সহজেই।