কাকতালীয়ভাবেই রাজনীতিতে প্রবেশ বারুইপুরের পৌরপ্রধান মাননীয় শক্তি রায়চৌধুরী

banner

#Exclusive Candid Interveiw:

আজ প্রভাতী সংবাদের টিম চলে এসেছে বারুইপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাননীয় শক্তি রায়চৌধুরীর সাথে কিছু কথা বলার জন্য। উনার রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাতের ঘটনা হিসাবে বলেন- “বঙ্গবাসী কলেজ থেকে আমার ছাত্র রাজনীতির শুরু। রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন অরূপ ভদ্র। সেই বঙ্গবাসী কলেজ থেকেই আমার ছাত্র রাজনীতির শুরু| বঙ্গবাসী কলেজের এসএফআই সারা পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা বদলের পর সিপিএম ক্ষমতায় আসে| আর যেই বছরে ঘটনাটা ঘটে সেই বছর ছিল আমার ফাইনাল ইয়ার| কিন্তু সেই বছরের ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়া হয়না তখন আমি এবং আমার কিছু সহপাঠীরা এসে ভর্তি হই বারুইপুর সুশীল গড় কলেজে| এরপর সেখান থেকেই পড়াশোনা করি এবং ছাত্র রাজনীতির আঙ্গিনায় সেখান থেকেই বারুইপুর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াই, কখনো সুব্রত মুখার্জি সহকর্মী কখনো অশোক দেব জয়ন্ত ভট্টাচার্য সহকর্মী হিসেবে। এই ছাত্র রাজনীতি থেকেই আমার উত্থান। যুব রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে আসা যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়ানো| এইভাবে ১৯৯০ সালের সদ্য পরাজিত লোকসভায় জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বারুইপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করেন| আমার দাদু ছেলের ললিত রায় চৌধুরী| আমি তার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি | আমার গৃহ শিক্ষক ছিলেন শ্রী গৌড় দাস ব্যানার্জি তিনি সিপিএম প্রার্থী তাকে আমি ৩৪ ভোটে পরাজিত করে বারুইপুর পৌরসভার প্রথম পা রাখি| এরপর আস্তে আস্তে এভাবেই পথ চলা | তৃণমূল কংগ্রেস বিভক্ত হওয়ার পর আমাকে  তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়। দীর্ঘ ২১ বছর আমি শহরের সভাপতি ছিলাম | বর্তমানে আমি সেই দায়িত্ব সুভাষ বাবু কে দিয়ে দিয়েছি | আমি পৌরসভা চালাচ্ছি ১৫ বছর। ২০০৫ থেকে কাউন্সিলর | দুই হাজার কুড়ি থেকে মুখ্য প্রশাসকের কার্যালয়| আর আর ২০২২ সালে আমি আবার এই নির্বাচনে প্রার্থী  হয়েছি|”

বাবার জমিদারি না দেখে কাকতালীয়ভাবেই বারুইপুরের রাজনীতিতে আসেছেন বলে জানান তিনি। ১৯৭৭ সালে বারুইপুরে নবনির্বাচিত বিধায়ক হেমেন মজুমদার এর সাথে উনার বাবার একটা বচসা  হয়, যার প্রতিবাদে তাঁর রাজনিতি তে আসের ইচ্ছা দিগুণ হয় বলে জানান। অরূপ ভদ্রের হাত ধরিই প্রশাসনিক কাজ শিখেছেন|অরূপ ভদ্রই উনাকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটে দাঁড়াতে বলেন | ২০০৫ সালে উনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটে দাঁড়ান | এখানকার মানুষের ভালোবাসায় এবং সকলের পরিশ্রমী এবং অরূপ ভদ্রের নেতৃত্বে উনি ভোটে জয়লাভ করেন, যেটা উনার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট বলে জানান।  
এখন অব্দি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়- “উৎসব নামে একটা কমিউনিটি হল আছে সেটাকে আমি ভালোভাবে তৈরি করে দিয়েছি | সেখানে বিবাহ এবং বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান হয় তা ছাড়াও বিভিন্ন প্রোগ্রাম হয়ে থাকে। এছাড়া শিশুসাথী বলে একটা বলে একটা পার্ক করেছি| এছাড়া এটি ওয়ার্ড অফিস আছে তার নীচে যে এসএসজি  গ্রুপ আছে এছাড়া একটা অঙ্গনওয়াড়ি কাজ শেষ করেছি আরও একটা আমি চালু করব, হিন্দি একটা প্রাইমারি স্কুল যার নাম সরস্বতী হিন্দি স্কুল সেই স্কুলটা একেবারে ভেঙে যাচ্ছিল সেটাকে রিমডেলিং করেছি। এছাড়া এখানকার সমস্ত রাস্তা আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনেজ প্রসেস তারপরে রাস্তায় এলইডি লাইট সবরকম ব্যবস্থা করেছি।”
তিনি ক্ষমতায় আসার পর বারুইপুর নজরুল সরণিতে জল নিকাশি ব্যবস্থার যে অসুবিধা আছে ওটাই প্রথম ঠিক করবে বলে জানান। তিনি আরও জানান-“ আমি জিতব এই নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই| তারপর আমার প্রথম কাজ হবে যে রাস্তাগুলোর কাজ আমি এখনো করতে পারিনি বা যেগুলো করেছি সেগুলো রিপেয়ারিং করবো| দ্বিতীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা গুলোকে ঠিক করব। এখনো যেগুলো ইটের রাস্তা আছে এই বারুইপুরে সেগুলো আমি সেগুলো কি আমি ঠিক করার ব্যবস্থা করব|”
সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- “দেখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুবশ্রী খাদ্যসাথী কন্যাশ্রী প্রকল্প গুলো আছে তিনি সেগুলো দিচ্ছেন আর আমি তো দেওয়ার কেউ নেই আমার কিছু করার নেই আমি সবটাই মমতা ব্যানার্জির কাজ দেখে মানুষ বিচার করবেন|আর সারা বাংলায় মমতা ব্যানার্জির যে ঝড় বইছে এই বারুইপুর পৌরসভার 17 নম্বর ওয়ার্ডের মানুষও নিশ্চয়ই সেই ঝড়ের বাইরে নিশ্চয়ই যাবেন না।”

Journalist Name : Aditi Sarker

Tags:

Related News