ভিন্টেজ ধোনির চেন্নাই এক্সপ্রেসকে থামালো কেকেআর

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

রবীন্দ্র জাদেজা বলেছিলেন, তার কাছে মহেন্দ্র সিং ধোনি আছেন। তিনি 'মাহি মার রাহা হ্যায়' মেজাজে ৩৮ বলে ৫০ রানে অপরাজিত রইলেন। তবে জয় এল না। গত বছর ফাইনাল হারের বদলা সুদে আসলে তুলে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে এ বারের আইপিএল  অভিযান শুরু করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শ্রেয়স আইয়ারের বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব, উমেশ যাদবের আগুনে জোরে বোলিং ও ভারতীয় দলের আর এক ব্রাত্য অজিঙ্কা রাহানের  ব্যাটের উপর ভর করে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল কেকেআর। 
আসলে নেতা তৈরি হয় না, জন্ম নেয়। ক্রিকেটে অতি ক্লিশে এক শব্দ বন্ধনী। সময় সময় এই সব মর্চে পড়া শব্দেই আস্থা রাখতে ইচ্ছে করে। ধোনির মতো কেউ বোধহয় বিশ্বাস ফিরিয়ে দেন। গত দুটো আইপিএলে রান পাননি। কিন্তু টিমের বিপদ দেখলে ধোনির ভিতরের ‘নেতা’ আজও জেগে ওঠে। গর্জে ওঠে ব্যাট। যেখানে বিশ্বকাপ জিতেছেন, সেই ওয়াংখেড়েতে ১১ বছর পর ৪১-র ধোনি বুঝিয়ে গেলেন, বয়স নয় গুনতে হয় রান। ৩৮ বলে নট আউট ৫০-এ ফেরালেন হেলিকাপ্টার শট। শেষ ১৩ বলে ৩৬ রান দিয়ে করলেন। বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, কেন ক্রিকেট সভ্যতা বলে তাঁকে!
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধোনি ধরা দিলেন পুরনো মেজাজে। ৩৮ বলে হাঁকিয়ে নিলেন মরসুমের প্রথম অর্ধশতরান। কঠিন পরিস্থিতি থেকে সিএসকে-কে ধোনিই পৌঁছে দেন সম্মানজনক জায়গায়। ৪০ বছর বয়সি ভদ্রলোক যখন ব্যাট হাতে মাঠে নামলেন তখন চেন্নাইয়ের অবস্থা খুব খারাপ। ১০ ওভারে মাত্র ৬১ রানে পড়ে গিয়েছে ৫টি উইকেট। শুরুতেই সিএসকে শিবিরে আঘাত হেনেছে উমেশ যাদবের আগুনে পেস। কেকেআর পেসার পাওয়ার-প্লে চলাকালীনই তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী এবং আন্দ্রে রাসেল। সেই চাপের মুহূর্তে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ধোনিরও। সেই চাপের মুহূর্তে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ধোনিরও। নাইটদের দুই রহস্য স্পিনার, যাঁদের রহস্য আজও সমাধান করতে মারেননি ধোনি, সেই বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারাইন বেশ চাপেই রেখেছিলেন ধোনিকে। একটা সময় ১০ বলে মাত্র ২ রানে খেলছিলেন ধোনি। ১৭ নম্বর ওভার থেকে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার। সঙ্গে ছিলেন জাদেজা। শেষ ৩ ওভারে ৫০ রান তোলে চেন্নাই।  মাত্র ৩৮ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেন তিনি। জাদেজা ২৮ বলে ২৬ রানে মাঠ ছাড়েন। একটা সময় প্রবল চাপে থাকলেও ৫ উইকেটে ১৩১ রানে ইনিংস শেষ করল চেন্নাই। 

জবাবে কেকেআর এর আজিঙ্কা রাহানে এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার মিলে মসৃণ শুরু করলেন। ভেঙ্কটেশ ১৬ করে আউট হলেন ব্রাভোর বলে। ক্যাচ নিলেন ধোনি।
অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার পছন্দ করেন তিন নম্বরে খেলতে। কিন্তু এদিন তিনি জায়গাটা ছেড়ে দিলেন নীতিশ রানাকে। যার অন্যতম কারণ স্যানটনার এবং রবীন্দ্র জাদেজা দুজন বাঁহাতি স্পিনার থাকায়। রানা লুজ বল পেলে মাঠের বাইরে পাঠালেন। স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ব্রাভোর বলে রাইডুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন (২১)। দশ ওভারে কেকেআরের রান ছিল ৭৬/২।
কিন্তু বল থেমে থেমে আসছিল। শট খেলা সহজ ছিল না। বাউন্ডারি আসছিল না। প্রয়োজন ছিল না যদিও। শুধু স্কোরবোর্ড চালু রাখলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। বিলিংস এবং শ্রেয়স সেই চেষ্টা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত জিতেই আইপিএল অভিযান শুরু করল কেকেআর। ফাইনাল হারের বদলা বলা না গেলেও, চেন্নাইকে হারিয়ে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেল।
শেষদিকে বিলিংস কিছু বড় শট মারলেন। বিলিংস ২৫ করে ফিরে গেলেও ততক্ষণে কেকেআরের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:- চেন্নাই (ধোনি নট আউট ৫০, উত্থাপ্পা ২৮, জাডেজা নট আউট ২৬, উমেশ ২-২০, বরুণ ১-২৩, রাসেল ১-৩৮)। কলকাতা (রাহানে ৪৪, বিলিংস ২৫, রানা ২১, শ্রেয়স নট আউট ২০, ব্র্যাভো ৩-২০, স্ট্যান্টনার ১-৩১)।

Journalist Name : Avijit Das

Related News