জেনে নিন পাসপোর্ট তৈরীর নতুন পদ্ধতি

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার জন্য কমবেশি সব কিছুর মতো পাসপোর্ট টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যেটা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ প্রায় অসম্ভব। "পাসপোর্ট" শব্দটির উদ্ভব ফার্সি ভাষা থেকে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের একজন নাগরিকের একটি পরিচয় পত্র হল পাসপোর্ট।
পাসপোর্ট বানানোর প্রথম কাজ শুরু হয় পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে। পাসপোর্টের ফি দুই ভাবে জমা দেওয়া যায়। আপনি যদি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে ফি জমা দিতে হবে ব্যাংকে। যদি আপনি সরাসরি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে অনলাইনে আবেদন পক্রিয়া শেষে সেখান থেকেই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার অপশন থাকে। পাসপোর্ট ফি বা খরচ কতটা হবে তা নির্ভর করে কতদিনের ভিতর আপনি পাসপোর্ট পেতে চান তার উপর।
পাসপোর্ট পাওয়ার জন্যে দুই ধরণের সুযোগ আছে। একটা হচ্ছে সাধারণ পাসপোর্ট যা পেতে আপনাকে কমপক্ষে ২১ দিন অপেক্ষা করতে হবে (সর্বমোট ৩৪৫০ টাকা ফি) এবং আরেকটি হচ্ছে জরুরী পাসপোর্ট যা আপনি ৭ দিন পর পাবেন (সর্বমোট ৬,৯০০ টাকা ফি)। আপনি কোন ধরণের পাসপোর্ট পেতে চান সেই মত আপনাকে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে।
দুই ভাবে পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড বা সংগ্রহ করে নিজে নিজে হাতে পূরণ করে। অথবা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে।
বর্তমানে আবেদন প্রক্রিয়া আগের এমআরপি পাসপোর্ট এর চেয়ে কিছুটা সহজ। এখন আর আগের মত পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হয় না। এতে সত্যায়িত করার ঝামেলা কমে গেছে। চলুন দেখে নেই পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে।
এখন পাসপোর্ট করতে এই একটা ডকুমেন্টই আসল ও আবশ্যক। তবে আপনার পেশা, বৈবাহিক অবস্থা ও পাসপোর্ট অফিস ভেদে বেশ কিছু অতিরিক্ত কাগজ লাগতে পারে। সেগুলো নিম্নরূপঃ
১) পেশাগত প্রমাণ (যেমন ছাত্র হলে স্টুডেন্ট আইডি, জব হোল্ডার হলে জব আইডি, ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স, কৃষক হলে জমির খতিয়ান এসব) ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার, উকিল ও অন্যান্য পেশার লোকদের ক্ষেত্রে পেশাগত প্রমাণ, নাগরিক প্রমাণপত্র।
২) আগে কোন পাসপোর্ট থেকে থাকলে সেগুলোর মুল কপি ও ডাটা পেইজের ফটোকপি।
৩) ১৮ বছরের নিচের আবেদনকারীদের জন্য তাদের পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র।
৪) ১৫ বছরের নিচের আবেদনকারীদের পিতা-মাতার পাসপোর্ট সাইজ ছবি অথবা বৈধ অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে হবে ৬ বছরের নিচের আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও 3R সাইজের (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড) ম্যাট পেপারে ল্যাব প্রিন্ট রঙ্গিন ছবি দিতে হবে।
এছাড়া নতুন প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
১) জন্মের তারিখ প্রমাণ করতে আর বার্থ সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে তা চাওয়া হতে পারে পাসপোর্ট অথরিটির কাছ থেকে।
২) স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট, প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র অথবা LIC পলিসি বন্ডে দেওয়া জন্ম তারিখকেই বৈধ প্রমাণপত্র হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।
৩) আগের মতোই পৌরসভা বা পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া বার্থ সার্টিফিকেটও গ্রহণ করা হবে জন্মের প্রমাণপত্র হিসাবে।
৪) সাধু বা সন্নাসীদের ক্ষেত্রে দীক্ষাগুরুর নাম উল্লেখ করেও পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
৫) আবেদনকারীরা বিবাহিত হলেও ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক নয়।
৬) আগের মত বাবা বা মায়ের নাম একসঙ্গে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে। সেই জায়গায় যে কোনও একজনের নাম উল্লেখ করেই আবেদন করা যাবে।
৭) অনাথ আশ্রমে বড়় হওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেই আশ্রমের প্রধানের সইকেই গ্রাহ্য করা হবে বৈধ হিসেবে।

Journalist Name : Aankhi Banerjee

Tags:

Related News