ভারতের এক রত্ন উমেশ যাদব!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

উমেশকুমার তিলক যাদব , জন্ম: ২৫ অক্টোবর ১৯৮৭ মহারাষ্ট্রের নাগপুরে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি জাতীয় দলের পাশাপাশি বিদর্ভ দলের হয়ে খেলছেন। ক্রিকেটকয়লা খনির শ্রমিকের ছেলে থেকে জাতীয় দলের পেসার উমেশ যাদবের গল্প আজ ভারতীয় দলের উমেশ যাদব, সফলতম পেসারদের জায়গায় নিজের নাম লিখে ফেলেছেন। ক্রিকেটকয়লা খনির শ্রমিকের ছেলে থেকে জাতীয় দলের পেসার উমেশ যাদবের গল্প।
আজ ভারতীয় দলের উমেশ যাদব, সফলতম পেসারদের জায়গায় নিজের নাম লিখে ফেলেছেন। গত দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন বোলিংয়ে দিক থেকে। এমনকি ব্যাট হাতেও ১০ বলে ৩১জন করে টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন যার মধ্যে ছিল পাঁচটি বিশাল ছক্কা। কিন্তু তার বাবা চেয়ে ছিলেন সে সরকারি চাকরি করবে তার পরিবারের আর্থিক অনটন মেটানোর জন্য। যার ফলে তাকে সারা জীবন কয়লা খনির শ্রমিক হিসেবে কাটাতে হবে না।
উমেশ যাদব তোর বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই কনস্টেবল পরীক্ষায় বসলেন কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তবে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় একজন রিজার্ভ ব্যাংকের সহকারী ম্যানেজার হিসেবে। স্বপ্ন পূরণ করতে কেটে গিয়েছিল প্রায় বারটি বছর। ভেবেছিল একজন পুলিশ কনস্টেবল হবেন কিন্তু হয়ে গেলেন একজন ব্যাংকের ম্যানেজার। তবে এটাই তার পরিচয় নয় তার আরেকটি বড় পরিচয় হলো তিনি ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন পেসার। তার মাঝেই বড় হয়ে উঠেছেন উমেশ। তার বাবার স্বপ্ন ছিল যে বড় হয়ে ছেলে চাকরি করবে কিন্তু টাকার অভাবে বেশি দূর পড়াশোনা করতে পারেনি তাই মাঝেই থাকে শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে হয়। এরপর তিনি যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেট খেলায় অর্থ উপার্জনের জন্য। তার বাবা চেয়ে ছিলেন সে সরকারি চাকরি করবে তার পরিবারের আর্থিক অনটন মেটানোর জন্য। যার ফলে তাকে সারা জীবন কয়লা খনির শ্রমিক হিসেবে কাটাতে হবে না। উমেশ যাদব তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই কনস্টেবল পরীক্ষায় বসলেন কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তবে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় একজন রিজার্ভ ব্যাংকের সহকারী ম্যানেজার হিসেবে। স্বপ্ন পূরণ করতে কেটে গিয়েছিল প্রায় বারোটি বছর। ভেবেছিল একজন পুলিশ কনস্টেবল হবেন কিন্তু হয়ে গেলেন একজন ব্যাংকের ম্যানেজার। তবে এটাই তার পরিচয় নয় তার আরেকটি বড় পরিচয় হলো তিনি ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন পেসার।ভারত দলে তিনি মূলত ডানহাতি ফাস্ট বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন। যাদবের পিতা উত্তর প্রদেশের দেউরিয়া জেলার একজন কয়লা খনি শ্রমিক ছিলেন। তবে শ্রমিকদের গ্রাম হিসেবে পরিচিত বালি গ্রামে তার পরিবারের সাথে বড় হন। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আবির্ভূত হবার পূর্বে উমেশ যাদব সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। 

ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০০৭-২০০৮ মৌসুম থেকে রঞ্জি ট্রফির প্লেট লীগের অজনপ্রিয় দল বিদর্ভ দলের পক্ষে খেলে আসছেন। এরপূর্বে তিনি কেবলমাত্র টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতেন। বিদর্ভের অধিনায়ক প্রীতম গান্ধী যাদবকে সহায়তা করেন এবং টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় এয়ার ইন্ডিয়া দলে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দেন। শুরুর দিকে গান্ধী তার সম্পর্কে বলেন যে, তার বোলিং অগোছালো, কিন্তু বলের গতি অত্যন্ত দ্রুতগামী। যদি স্টাম্প বরাবর কমপক্ষে তিনটি বল ছুঁড়ে, তাহলে ব্যাটসম্যানদের জন্যে তা হবে বিপদজনক। মে, ২০১০সালে জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। এর পরের বছর নভেম্বর মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলায় অংশ নেন যাদব।
বিদেশী মাঠে অসফলতা সম্পাদনা : 
একদিবসীয় ম্যাচে বিদেশী মাঠে তার পারফরমেন্স আশাব্যাঞ্জক নয়। খুব কম ক্ষেত্রেই তিনি সফল। বরং ঘরের মাঠেই তুলনামূলক স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ সম্পাদনা : 
একদিবসীয় ম্যাচে বিদেশী মাঠে তার খারাপ পারফরমেন্স সত্ত্বেও ব্যাতিক্রম হিসেবে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত বোলিং করেন। ভারত সেমিফাইনালে পৌঁছায়। আন্তর্জাতিক টি২০ তে ধারাবাহিকতার অভাব সম্পাদনা প্রথম টি২০ ২০১২ সালে খেললেও অনিয়মিত পারফরম্যান্সের কারণে সেভাবে দলে স্থায়ী জায়গা করতে পারেননি।
কিন্তু তিনি যে জায়গাটা ভারতীয় ক্রিকেট টিম এ আজ বানিয়েছেন সেটা সত্যিই অতুলনীয় এবং অসামান্য।

Journalist Name : Debopriya Banerjee

Related News