ত্রিপুরার রাজনীতিতে নয়া মোড়! মুখ্যমন্ত্রী হলেন মানিক সাহা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ত্রিপুরার রাজনীতিতে ১৪ই মে তোলপাড় পড়ে গেছে। আচমকা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তিফা দিয়েছেন বিপ্লব দেব। তারপর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিক সাহার নামও ঘোষণা হয়ে গেছিল শনিবারই। রবিবার রাজ্যের ১১ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। এ দিন বিপ্লব দেবের আচমকা ইস্তফার পরই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বিজেপি-র সব বিধায়ককে ডেকে পাঠানো হয়৷ ইতিমধ্যেই আগরতলায় পৌঁছেছেন বিজেপি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিনোদ তাওড়ে৷ জানা গিয়েছে, সম্ভবত মানিক সাহাকে আগরতলা অথবা বরদোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে আনা হবে৷ তবে মানিক সাহা ছাড়াও রাজ্যের জিষ্ণু দেব বর্মণ এবং প্রতিমা ভৌমিকের নামও শোনা গিয়েছিল৷ তবে শেষ পর্যন্ত মানিক সাহাই হলেন বর্তমানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মানিক সাহা। ২০২০ সালে তিনি বিজেপির ত্রিপুরা শাখার সভাপতি হন। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ত্রিপুরার পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপির বিজয়ের জন্য তাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপ্লব দেবের পর বিজেপির নতুন নেতা নির্বাচন করতে গিয়ে দলের বিধায়ক এমএলএ-রা আজ শনিবার সন্ধ্যায় বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বিজেপি লেজিসলেটিভ পার্টির সভায় রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল মুখ্যমন্ত্রী পদে মানিক সাহার মনোনয়নের বিরোধিতা করেন। তিনি এ পদের জন্য বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও ত্রিপুরা রাজ পরিবারের সদস্য জিষ্ণু দেব বর্মার নাম প্রস্তাব করেন। আর এসময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিজেপির এমএলএ-রা ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। পরে দলের রাজ্য-ইনচার্জ ভূপেন্দর যাদব নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিক সাহার নাম ঘোষণা করেন। এদিকে মানিক সাহার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভার অনেকেই হাজির ছিলেন না।এদিকে, পদত্যাগের কারণ নিয়ে বিপ্লব দেব সাংবাদিকদের বলেন, ‘দল সবার ওপরে। আমি বিজেপির একজন অনুগত কর্মী। আশা করি যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল, তা ভালোভাবেই করতে পেরেছি। তা হোক বিজেপির অথবা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। আমি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্যই কাজ করে গেছি। ত্রিপুরা ও রাজ্যে মানুষের শান্তি নিশ্চিতে পাশে ছিলাম’।

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Related News