প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতি, নিজাম প্যালেসে হাজিরা মানিক ও রত্নার

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের মামলাতে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী । সোমবারই তাঁদের সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তদন্তে সহযোগিতা না করলে ওই দুইজনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এরপরই , এদিন বিকেল পাঁচটা পঁচিশ নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা।।  সঙ্গে ছিলেন সচিব রত্না চক্রবর্তীও। নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় টেট দুর্নীতি মামলায় তাঁদের জেরা করা হয়। রাত পৌনে ন'টা নাগাদ যখন তাঁরা নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন, তখন কোনও কথা না বলে রীতিমতো দৌড়ে  বেরিয়ে যান মানিক ভট্টাচার্য। রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, "বোর্ডে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।" গণমাধ্যম কে এড়ানোর জন্য দুজনে বিপদজনক ভাবে ছুটতে থাকেন এবং নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে বলেন, "হেল্প মি। পুলিশি নিরাপত্তা দিন। বাড়ি যাব।" ট্রাফিক সার্জেন্টকে এই কথা বলার পরও, আর অপেক্ষা করেননি তাঁরা। ছুটতে শুরু করেন রাস্তায়। পরে একটি গাড়িতে উঠে চলে যান নিজের গন্তব্যে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা উচ্চ-আদালত। ২০১৭- তে যে নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল এবং সেই মোতাবেক যে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে তা বেআইনি ঘোষণা করল হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগ, রাজ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে ১ নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, এদের মধ্যে অনেকেই পরীক্ষায় পাশ না করলেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। আদালতের প্রশ্ন, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্য়ে ২৬৯ জনকে কেন নিয়োগ করা হল? এছাড়া যেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে বোর্ড জানিয়েছিল শূন্য পদ নেই, সেখানে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে নতুন শূন্যপদের অস্তিত্ব নিয়ে পরস্পরবিরোধীতার ব্যাপারেও সন্দিহান বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়।

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Related News