আগামী 29 শে নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনে 26 টি বিল আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার তারমধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল অন্যতম। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিল গুলির মধ্যে যেমন কৃষি আইন আছে ঠিক তার পরেই ক্রিপ্টোকারেন্সি। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে জল্পনা বহুদিনের। নিষিদ্ধকরণের পথে না হেঁটে কিছু নিয়ন্ত্রিত নিয়ম আনা হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে তা আগেই ঠিক হয়েছে সংসদীয় কমিটি ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা। লক্ষাধিক মানুষ বর্তমানে ডিজিটাল মুদ্রায় লেনদেন সম্পন্ন করছে এবং তাতে ঝুঁকির সম্ভাবনা প্রচুর। যা করে দিতে পারে মানুষকে সর্বশান্ত এমনটাই ধারণা সরকারের।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রক এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাথে এই বিষয়ে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদীয় কমিটির সাথে এ বিষয়ে আলোচনা সেরে নতুন নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে “ ক্রিপ্টোকারেন্সি এন্ড রেগুলেশন অফ অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল” পাস করাতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সিডনিতে ভার্চুয়াল অধিবেশনেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বিভিন্ন কথা। তার ধারণা সমগ্র যুবসমাজকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে এই ভার্চুয়াল মুদ্রা। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদের মত কাজকর্মেও যুক্ত করা হচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি কে তাই এর বিরুদ্ধে সব গণতান্ত্রিক দেশকেই এক হতে হবে এমনটাই বলেন প্রধানমন্ত্রী। এইদিকে ভারতে হ্রাস পেয়েছে ডিজিটাল মুদ্রার মান। ব্যবহারের মান কমেছে বিটকয়েন এবং ইথেরিয়াম এর। তা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে লেনদেন কারীর সংখ্যা। ক্রিপ্টোকারেন্সি তারা খুব সহজেই নিজের অর্থ দ্বিগুণ করে নেওয়া যায় তাই এর লেনদেনকারীর সংখ্যাও বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। জানা গেছে বীজের নতুন বিষয় বেসরকারি সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি দ্বারা কেনাবেচা এবং লেনদেন প্রক্রিয়া নিষিদ্ধ করা। তবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করলে তাতে ক্ষতির মুখ দেখবে বহু সাধারণ মানুষ। যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি তে যথারীতি ইনভেস্ট করে ফেলেছেন তাদের হবে প্রচুর ক্ষতি। তাই ব্লকচেইন পদ্ধতির দ্বারা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ভবিষ্যতে যাতে ক্রিপ্টোকারেন্সি আনতে পারে তার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সি ডিজিটাল মুদ্রা কোন ব্যাংক বা সরকারের আওতায় পড়ে না। অর্থাৎ এর মালিক আনার জন্য কৈফিয়ত দিতে হয় না কাউকেই। ফলে তাতে বিপদের সংখ্যা অনেক বেশি। ভার্চুয়াল হওয়ার কারণে ব্যাংক এটিএম থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায় না এই ডিজিটাল মুদ্রা। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আওতায় আনবে তা হতে পারে ভরসাযোগ্য এমনটা ভেবেই সরকারের নতুন পদক্ষেপ।