এখনো মুর্শিদাবাদে জ্বলছে ক্ষোভের আগুন, মীরজাফরের পরিবারের

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

এখনো মীরজাফরের পরিবার ক্রোধের আগুন নিয়ে দিন কাটাচ্ছে মুর্শিদাবাদে, বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে আজও তারা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেয়। 1957 সালে 23 শে জুন  ব্রিটিশ সরকারের কাছে ধরা পড়েন বাংলার শেষ নবাব  সিরাজউদ্দৌলা, তিনি ছিলেন কার্যত স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব। এরপরে নবাব হয়েছিলেন মীরজাফর কিন্তু খুব বেশিদিন তিনি তার সিংহাসন ধরে রাখতে পারেন, বাংলা বিহার উড়িষ্যা সব জায়গা মীরজাফরের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল। তাই হয়তো ইতিহাসের পাতায় এখনো পর্যন্ত গদ্দার হিসেবে পরিচিত মীরজাফর। কিন্তু মুর্শিদাবাদে থাকা তার বংশধরদের দাবি যদি যুদ্ধে মীর জাফর  যদি জিততেন এবং বেঁচে থাকতেন তাহলে মুর্শিদাবাদের আরো উন্নতি হতো। পলাশীর যুদ্ধের পর খুব তাড়াতাড়ি সিংহাসনচ্যুত হন তিনি। পলাশীর যুদ্ধের কথা উল্লেখ করলে সেখানে সিরাজউদ্দৌলা এবং মীরজাফর ছাড়া আরো অনেকের নাম করতে হয় , তাদের মধ্যে আছেন মীরজাফরের জামাই মীরকাশিম সহ জগৎশেঠ। মীরজাফরের জামাই মীরকাশিমকে বড় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় এই যুদ্ধে। প্রথমে তাকে দেখে ইংলিশদের অধীনস্থ একজন বলে মনে হলেও পরে তিনিই ইংরেজ ঘটিত নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করেন সবথেকে বেশি।
মৃত্যুর পরেই তাকে শায়িত করা হয় জাফরাগঞ্জ প্যালেসের তার বসতবাড়ির খুব কাছেই একটি সমাধিক্ষেত্রে এবং ওই সমাধিক্ষেত্রে রাখা হয়েছিল তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও পুত্র কে। মীরজাফরের বংশধরদের একজনের খোঁজ এখনো পর্যন্ত ওই জাফরগঞ্জ প্যালেসেই পাওয়া গেছে। তার বক্তব্য অনুসারে, যদি মীরজাফর থাকতেন তাহলে এই মুর্শিদাবাদ আরো অনেক উন্নতি করতে। মীরজাফর ছিলেন বলেই মুর্শিদাবাদের অস্তিত্বটা এতটা ঝকঝকে বলে মনে করেন ওইখানে বসবাসকারী তার বংশধরেরা। সেই দিনের যুদ্ধে তাদের পতন হলেও আজকের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্র ইমামবাড়া, হাজারদুয়ারি এসবই মীরজাফরের সৃষ্টি বলা বাহুল্য। কিন্তু ওনার আরো অন্যান্য বংশধরেরা থাকলেও তারা কেউ প্রকাশ্যে চায়না হয়তো ভয়ে বা দ্বিমত সৃষ্টিকারী নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty