ইয়াদো কি বারাতঃ পঞ্চমের সুরসপ্তক, জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা স্বর্ণযুগের যাদুকরকে

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

“ইয়াদ করেগি দুনিয়া তেরা মেরা আফসানা” সঙ্গীত কে যেন এই কথাই বলে গেছেন প্রসিদ্ধ সুরকার, গায়ক, সঙ্গীত-পরিচালক সুরসম্রাট রাহূল দেববর্মণ। প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত পরিচালক শচীন দেববর্মণ এবং পঞ্চাশের দশকের নামী গীতিকার মীরা দাশগুপ্ত(দেববর্মণ)-এর পুত্র রাহুলের সংগীতপ্রেম ছিল পরিবারগত। তার ঠাকুরদা মহামান্যবর রাজকুমার শ্রীল-শ্রীযুক্ত নবদ্বীপচন্দ্র দেব বর্মণ ছিলেন জনপ্রিয় সেতার বাদক এবং ধ্রুপদী গায়ক। মা মীরা দাশগুপ্ত(দেব বর্মণ) ছিলেন ঠুমরী ও গজল গীতিকার এরই সঙ্গে শচীন দেব বর্মণের সহকারি সংগীত পরিচালক। এছাড়া তার বাবা শচীন দেব বর্মণ ছিলেন বিশ্বখ্যাত সংগীত পরিচালক। ত্রিপুরা রাজ পরিবারে ২৭শে জুন ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহন করা রাহুলের প্রাথমিকভাবে ডাকনাম ছিল ‘টুব্লু’ যা তার কাকা দিয়েছিল। পরে তার ডাকনাম হয়ে ওঠে ‘পঞ্চম’। পরবর্তীকালে এই ‘পঞ্চম’ নামেই তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। তবে, এই ‘পঞ্চম’ নামটি দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন মতপার্থক্য আছে।  কেউ কেউ বলে থাকেন সা রে গা মা পা এর 'পা' ধ্বনি দ্বারা রাহুল একদম ছোটোবেলায় ক্রন্দন করতেন তাই তার নাম সা রে গা মা পা এর পঞ্চম ধ্বনি অনুযায়ী ‘পঞ্চম’ হয় বা 'প' অক্ষর থেকে ‘পঞ্চম ‘ রাখা হয়। আবার, কেউ কেউ এও বলেন, বিখ্যাত ভারতীয় চলচিত্র অভিনেতা অশোক কুমার আর ডি বর্মণের নাম দেন ‘পঞ্চম’।
মাত্র নয় বছর বয়সে বাবার হাত ধরে ‘এ্যায় মেরে টোপি পালাট কে আ‘ গানের মাধ্যমে বিনোদন জগতে প্রবেশ করে পঞ্চমদা। তার এই গানটি তার বাবা ১৯৫৬ সালে ‘ফাণ্টূশ’ চলচিত্রে ব্যাবহার করেন। এরপর ১৯৫৭ সালে তার বাবার চলচিত্র ‘পিয়াসা’ -তে ‘সার জো তেরা চাক্রায়েও’ গানটি রাহুলের সুরে তৈরি হয়। এরপর  ওস্তাদ আলি আকবর খাঁনের কাছে সরোদ ও সমতা প্রসাদের কাছে তবলা প্রশিক্ষণ নেন। এছাড়া তিনি সুর সম্রাজ্ঞ শ্রী সলীল চৌধুরির কাছেও বেশ কিছুদিন সংগীতে তালিম নেন। এরপর ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি চলচিত্রে সংগীত পরিচালকের ভুমিকা পালন করেন। এর মধ্যে ১৯৫৮ সালে তার সুরে ‘সোল্ভা সাল’ চলচিত্রে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলায় গাওয়া গান 'হ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা' দর্শকমহলে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৬১ সালে ‘ছোটে নওবাব’ ছবির মাধ্যমে আর ডি বর্মণ একক সংগীত পরিচালক হিসেবে বিনোদন জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৬৬ সালে ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছবির সংগীত পরিচালনা করেন পঞ্চম দা। ছবিটির গানগুলি মুক্তি পাওয়ার পরে, ছবির সবকটি গান দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়। এই ছবির গান হিট করার পরে আর ডি বর্মণ দর্শকদের একের পর এক হিট গান উপহার দেন এবং কিছুদিনের মধ্যে সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে সক্ষম হন। তার পরিচালনায় ‘কুছ না কাহো’, ‘ও মেরে দিলকে চ্যান’, ‘গুম হ্যায় কিসিকে প্যায়ার মে’, 'ইয়াদো কি বারাত'  সহ প্রচুর গান এখনো অমর।

Journalist Name : Tamoghna Mukherjee

Related News