Flash news
    No Flash News Today..!!
Friday, May 17, 2024

শেষের সেদিন, কী হয়েছিল বিবেকানন্দের মৃত্যুর আগে ও পরে! তাঁর অকালপ্রয়াণ নিয়ে অজানা তথ্য

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মহাপুরুষের মৃত্যু হয় না। তাঁরা দেহ রাখেন। সাধারণত তাঁদের প্রয়াণের মুহুর্তগুলিকে আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানতে চাই। সাধারণ মানুষের উৎসাহ রয়েছে তা নিয়ে। যাঁরা মহাপুরুষ হন, জীবনে কর্মে সমাজ-দেশ, প্রজন্মকে দিকনির্দেশ করেন, তাঁরা কীভাবে মারা যান; আমাদের সঙ্গে তাঁদের মৃত্যুর মিল কোথায় অমিলই বা কতটা, সব নিয়েই কৌতূহল স্বাভাবিক। প্রায় সোয়া শতক ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যে মহাপুরুষের মৃত্যু নিয়ে ভেবেছে তিনি যুগাবতার বিবেকানন্দ। বিবেকানন্দের মৃত্যু নিয়ে কোনও রহস্য না থাকলেও কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়, তা নিয়ে প্রশ্নের কোনও শেষ নেই।
১৯০২ সালের আজকের দিনেই মৃত্যু হয় স্বামী বিবেকানন্দের। তাঁর নশ্বর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হলেও চিরকালীন তাঁর অমর বাণী। বিবেকানন্দের মৃত্যু নিয়ে কোনও রহস্য সেই ভাবে না থাকলেও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু ভিন্ন ধারণা রয়েছে।

তাঁর মহাপ্রয়াণের দিন স্বামীজি অত্যন্ত সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলেন। বেলুড় মঠের প্রার্থনা গৃহে তিন ঘণ্টা ধ্যান করেন তিনি। এরপর ছাত্রদের শুক্লা-যজুর্বেদ, সংস্কৃত ব্যকরণ ও দর্শনশাস্ত্র শেখান। পরে স্বামী প্রেমানন্দের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ পায়চারি করেন তিনি, আলোচনা করেন রামকৃষ্ণ মঠের ভবিষ্যত্‍ নিয়ে। সেদিন বেলুড়ঘাটে জেলের নৌকো ভিড়েছিল। নৌকো ভর্তি গঙ্গার ইলিশ মহোত্‍সাহে কিনিয়েছেন বিবেকানন্দ। সবার সঙ্গে বসে দুপুরে খেয়েছেন ইলিশের নানা পদ। সন্ধে ৭টা নাগাদ নিজের ঘরে চলে যান তিনি। বলে যান, এখন কেউ যেন তাঁকে বিরক্ত না করে। ঘরে গিয়ে ধ্যানে বসেন তিনি। ধ্যান করতে করতেই রাত ৯টা ১০ মিনিটে আনন্দলোকে যাত্রা করেন এই বীর সন্ন্যাসী।তাঁর শিষ্যদের মতে, বিবেকানন্দ মৃত্যুর আগে মহাসমাধি লাভ করেছিলেন। যদিও মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে যাওয়াই মৃত্যু সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দাবী করছে ডাক্তারি রিপোর্ট। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ডাক্তাররাও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তাঁর শিষ্যদের দাবী যে মহাসমাধির সময় মস্তিষ্কের ব্রহ্মরন্ধ্র ফেটে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রখ্যাত লেখক শংকরের ‘দ্য মঙ্ক অ্যাজ ম্যান’ বইতে স্বামীজির স্বাস্থ্য নিয়ে লিখতে গিয়ে এর উল্লেখ করেছেন। লেখক বলছেন, অনিদ্রা, যকৃৎ ও কিডনির সমস্যা, মাইগ্রেন, ডায়বেটিস, হৃদরোগের মতো কমপক্ষে ৩১টি ব্যাধি ছিল স্বামীজির। প্রসঙ্গত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের অনেক আগেই তিনি নিজেই জানিয়েছিলে যে তাঁর বয়স ৪০ পেরোবে না। স্বামীজির যখন মৃত্যু হয়, তখন তাঁর বয়স মাত্র ৩৯ বছর, ৫ মাস, ২৫ দিন। বেলুড়ে গঙ্গার ধারে চন্দনকাঠের চিতায় দাহ করা হয় তাঁকে। ১৬ বছর আগে ঠিক এর উল্টোদিকে দাহ করা হয়েছিল শ্রী রামকৃষ্ণকে। 

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Tags:

Related News