আষাঢ়েও ইলিশের খোঁজ নেই

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আষাঢ়স্য সমাপ্ত দিবস,এই সময় ইলিশের। বর্ষা এলেই  পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে ভিড় জমান ইলিশ উৎসুকরা,ভিড় হচ্ছে এবারও,তবে ইলিশের পাত্তা নেই।ইলিশের অপেক্ষায় থেকে যেমন মন খারাপ ভোজনরসিকদের; তেমনই প্রবল সমস্যায় মৎস্যজীবীরাও কিন্তু প্রশ্ন এখন, ইলিশের এমন আকাল কেন? তা নিয়ে একাধিক কারণ তুলে ধরছেন মৎস্যজীবীরা।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, কোলাঘাটের রূপনারায়ণের নাব্যতা কমে গিয়েছে এবং পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জল দূষণ; মূলত এই দুই কারণেই ক্রমশ কমছে ইলিশের সংখ্যা। বর্ষার মরসুমে ইলিশের উপরেই মৎস্যজীবীদের রোজগারের একটা বড় অংশ নির্ভর করে। কিন্তু ইলিশের সংখ্যা হ্রাসের কারণে সেই রোজগারেও কোপ পড়েছে; ফলে জীবিকা নির্বাহ করতে অন্য পেশা বেছে নিচ্ছেন তাঁরা।
পদ্মার ইলিশ বিখ্যাত।ঠিক তেমনই বেশ নামডাক রয়েছে কোলাঘাটের ইলিশেরও রূপনারায়ণের স্রোতে জাল ফেলতে না ফেলতেই উঠে আসত সেই রূপোলী সৌন্দর্য্য। ইলিশ দেখে হাসি ফুটত জেলেদের মুখে। কিন্তু সেসব এখন অতীত। কোলাঘাটের মৎস্যজীবী মানু খাঁড়া জানান যে,নাব্যতা কমে যাওয়ায় চরা পড়ে গিয়েছে।পাশাপাশি রয়েছে দূষণও;আবার কলকারখানার দূষিত পদার্থ মিশেও জল দূষিত হয়ে যাচ্ছে।ইলিশ আসছে না।
আরও এক মৎস্যজীবী নিত্য বারিক বলেন,এমনিতেই মাছ কম উঠছে এবং ইলিশও কমে গিয়েছে।তার জন্যই বাধ্য হয়ে পেট চালাতে অন্য পেশায় যাচ্ছেন তাঁরা। 
মৎস্যজীবীদের এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্য দফতর।পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা মৎস্য দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (মেরিন) জয়ন্ত প্রধানও জানিয়েছেন, 'রূপনারায়ণের নাব্যতা কমে যাওয়ায় ইলিশের ঘাটতি রয়েছে।এর সঙ্গে জল দূষণও রয়েছে।তবে ভারি বর্ষা হলে ইলিশের খরা কাটতে পারে।পাশাপাশি ড্রেজিং করে নাব্যতা বাড়ানোরও কাজ চালানো হবে।

Journalist Name : Riya Some

Tags:

Related News