অতিমারির পরে ফের চাঙ্গা অর্থনীতি, জিএসটি আদায় বাড়ল কেন্দ্রের

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

প্রায় দেড় বছর পর ফের বাড়ল জিএসটি আদায়। করোনা পরিস্থিতিতে এককথায় পঙ্গু হয়ে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। সেই অর্থনীতি আবার উপরের দিকে উঠতে শুরু করলো। গত ২ বছরে দেশের অতিমারি পরিস্থিতিতে একের পর এক ধাক্কা খেয়েছিল দেশের অর্থনীতি। দেশের জিডিপি এর বেশির ভাগ টাই আসে অ্যালকোহল এবং পেট্রোপণ্য থেকে, কিন্তু প্রায় ১ বছরের কাছাকাছি লকডাউনে তা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার যোগার ছিল। এছাড়া অতিমারি পরিস্থিতিতে একের পর এক করে ছাড়, জিএসটি ছাড়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী বিমান সব কিছুই প্রায় বন্ধ ছিল করোনার কারণে, এছাড়া জিএসটি আদায়ের আরও একটি বড় মাধ্যম হল পর্যটন কেন্দ্র গুলি, যাও প্রায় বন্ধ ছিল। 


প্রায় দেড় বছর পরে আস্তে আস্তে সব কিছু অতিমারি পূর্ব সময়ে ফিরে যেতে শুরু করেছে দেশ, গড়িয়েছে যাত্রীবাহী রেলের চাকা, আর তার সাথেই এগোতে শুরু করেছে অর্থনীতির চাকাও। ২০১৭ সালে দেশে প্রথম জিএসটি চালু করে কেন্দ্র সরকার, তার ফলে কেন্দ্রের ভাঁড়ার অনেক খানি ভরে উঠেছিল, তারপর থেকে আর তেমন জিএসটি আদায় দেখা যায়নি। তবে বুধবার অর্থমন্ত্রক সুত্রে জানা গেছে এই বছর জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে কর আদায় হয়েছে প্রায় ১.৩১ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রক সুত্রে জানা গেছে ২০১৭ সালে জিএসটি বা গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স চালুর পর গত কয়েক মাসের কর আদায় দ্বিতীয় বৃহত্তম। জানা গেছে এই বছর এপ্রিল মাসে বিপুল পরিমান জিএসটি সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্র সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তুলনাই ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জিএসটি আদায়ের পরিমান বেড়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। এই বিপুল পরিমান অর্থ সংগ্রহের পরে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “ এই পরিমান জিএসটি আদায়ের মাধ্যমে বোঝাই যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে”, তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এও দাবি করা হয়েছে অতিমারির প্রকোপে বেশ কিছু দ্রব্যের বিক্রি কম না হলে এই আদায়কৃত অর্থের পরিমান আরও বাড়ত।

অর্থমন্ত্রক সুত্রে বলা হয়েছে গত অক্টোবরে জিএসটি আদায় হয়েছে ২৩,৯৭৮ কোটি টাকা। রাজ্যের জিএসটি প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি এবং কেন্দ্র রাজ্য সংযুক্ত জিএসটির পরিমান ৬৬,৮১কতি টাকা। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের জিএসটি আদায়ের থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের জিএসটি আদায়ের পরিমান পেরায় ২৫ শতাংশ বেশি। 

 

তবে এত কিছুর পরেও চিন্তা মুক্ত হতে পারছে না কেন্দ্র সরকার, মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু বিমান বন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত দুই যাত্রীর শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে, যা নিয়ে সমগ্র দেশবাসীর সাথে দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছে কেন্দ্র সরকারও। ওমিক্রন নিয়ে একের পর এক বৈঠক ডেকেছেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে তড়িঘড়ি চিঠি পাঠানো হয়েছে সমস্ত রাজ্য সরকার গুলিকে, বাইরের দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাগাম টানা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান ওঠা নামা তেও।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News