পুজোতেও ছুটি পায়না যারা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মা আসছেন। হাতে গোনা আর কটা দিন।বৃষ্টির জন্য চাতক পাখি যেমন উদগ্রীব,তাকেও যেন হার মানায় বাঙালির পুজোর জন্য অপেক্ষা।সারা বছরের hectic schedule এ হাঁফ ছাড়ার জায়গা যেনো পুজোর এই চারটে দিন। প্যান্ডেল hopping, বন্ধুদের সাথে জমজমাট আড্ডা, শপিং, খাওয়া দাওয়া, ফ্যামিলি এর সাথে সময় কাটানো আবার কখনো কখনো এই চারদিনে দীঘা, পুরী, দার্জিলিং এর ছোট্ট গণ্ডির মধ্যে ঘুরতে গিয়ে সস্তায় সাধ পূরণ ও করে নেয় বাঙালি। তাই বলাই যায় পুজো যেনো বাঙালির কাছে মরুভূমিতে মরুদ্যান। বাঙালি? নাহ!  সব বাঙালির এত ভাগ্য বোধহয় হয় না। পুজো হয়তো সবার জন্য নয়। তাই অনেক বাঙালি পুজোতে মেতে উঠলেও সবাই তা পারেনা। কারণ, কিছু বাঙালি ডাক্তার ও হয়, কিছু বাঙালি হয় সাংবাদিক, কোনো বাঙালি হয় পুলিশ, আর্মি, স্বাস্থ্য, দমকল, বৈদ্যুতিক কর্মী বা পরিবহন কর্মী। ভাববার বিষয় পুজোতে পুরোহিতরাও  ছুটি পান না। সবার থেকে এনাদের পুজোগুলো একটু অন্যরকম। বাকি পাঁচ দিনের মতোই পুজোর দিন গুলো তারা কেউ গলায় স্টেথোস্কোপ নিয়ে, কেউ বা হতে বন্দুক নিয়ে ,কেউ হাতে বুম নিয়ে, আর কেউ স্টিয়ারিং এ হাত আর রাস্তায় চোখ রেখে কাটিয়ে দেন। এমনই এক ব্যাস্ত বাঙালি ACP অভিমন্যু রায় এর সাক্ষাৎকার এর কিছু মুহূর্ত- "পুজোটা কাটান কিভাবে?", "পুজোর সময় কোনো ছুটি পান? দায়িত্বগুলো কখনো কি ব্যাক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলে?" সত্যিই এনারা উৎসব এ মেতে উঠলে হয়তো অপরাধ, বিশৃঙ্খলা আটকানো যাবেনা, মুমূর্ষ রোগীদের বাঁচানো যাবে না, এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে যাওয়া যাবেনা, দেশের খবর দশের সামনে তুলে ধরা যাবেনা, বা কোনো বিপদ হওয়া আটকানো যাবেনা। তাই hats off তাদের যাদের জন্য জনগণ এত নিরাপদ, যাদের কাছে দায়িত্ব,কর্তব্য আনন্দের থেকেও বেশি দামি।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

Journalist Name : শ্রীমিতা শাসমল

Related News