এখন যানবাহন ছাড়া আমরা অচল। বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ নাগরিকদের বাড়িতেই রয়েছে যানবাহন। সবার বাড়িতে চারচাকা না থাকলেও অন্ততপক্ষে অধিকাংশ বাড়িতে জায়গা করে নিয়েছে দু'চাকা। আর এই চার চাকা বা দুই চাকা যাই হোক না কেন সেই সকল যানবাহন চালানোর অধিকার পেতে প্রয়োজন ড্রাইভিং লাইসেন্স।
এবার এই ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নতুন ঘোষণা করা হলো।
করোনাকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে গতি হারানোর ফলে বিভিন্ন পরিষেবার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত লক্ষ্য করা গিয়েছে। ঠিক সেই রকমই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে দেওয়া হতো কেবলমাত্র কাগজি লাইসেন্স। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ফলে রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবার থেকে পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে জারি করা হবে স্মার্ট কার্ড। এই কার্ডে এম্বেড করা চিপের পরিবর্তে একটি কিউআর কোড থাকবে। এটি আপনি সহজেই নিজের সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। আগামী মে মাস থেকেই আবার প্লাস্টিক কার্ডের আকারে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেবে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। করোনা পরিস্থিতির সময় থেকে শুধুমাত্র কাগজের লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছিল। এতদিন পিভিসি লাইসেন্স ইস্যু করা বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু আবার ২০২৩ সালের মে মাস থেকে এটি শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর।
নতুন যে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে তাতে থাকবে এমবেডেড চিপের পরিবর্তে একটি QR কোড। তবে নতুন এই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা একটি ফি দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে এক আধিকারিক সূত্রে। এই সকল নথি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস 'সারথি', এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য 'বাহন' ডেটাবেসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে।
পরিবহন দপ্তরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্যেই এই স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হবে এবং এই কার্ডে এমবেডেড চিপের পরিবর্তে কিউআর কোড রাখা হবে। কাগজপত্রের আকারে নথি রাখা অত্যন্ত কঠিন হওয়ার কারণে, সম্প্রতি এই নতুন কার্ড ইস্যু করতে শুরু করেছে রাজ্য। এই নথি এখন আপনি ডিজি লকারে ডাউনলোড করে নিজের কাছে রাখতে পারেন। তবে অনেকেই এখনো কার্ড ব্যবহার করতে সচ্ছন্দ বোধ করেন। সেই কারণেই প্লাস্টিকের কার্ড ফের চালু করছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর।