সন্ধ্যা নামলেই বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট কানেকশন, নিষিদ্ধ ফোন-টিভির ব্যবহার‌ও ! ভারতের মাটিতে‌ রয়েছে এমন‌ জায়গা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বর্তমানে মোবাইল ফোন হয়ে উঠেছে মানুষের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মোবাইল হাতে নিয়েই মানুষ কাটিয়ে দিতে পারে ঘন্টার পর ঘন্টা। আর মোবাইল ফোনের এই অত্যধিক ব্যবহারের ফলেই মানুষ 
নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে চরম আসক্তিতে। যার কারণে শারীরিক জটিলতা থেকে শুরু করে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট সমস্ত কিছুই গ্রাস করছে দেশ ও দুনিয়াকে। তাই মোবাইল ফোনের আসক্তি এবং কুপ্রভাব থেকে রক্ষা পেতে মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার ভাদগাঁও নামক এক গ্রামে বলবৎ করা হয়েছে এক নয়া নির্দেশিকা। ওই নির্দেশিকা অনুসারে সন্ধ্যা ৭ টা বাজলেই বন্ধ করে দিতে হয় সমস্ত মোবাইল ফোন। বন্ধ করে দিতে হয় টিভিও। এমনকি ঘড়ির কাঁটায় ৭ টা বাজলেই প্রায় ১ ঘন্টা ধরে সাইরেন বাজিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় ডিজিটাল কানেকশন‌ও।

করো‌না কালে একটানা ২ বছর ধরে ইন্টারনেট কানেকশন এর সাহায্যে ফোনে‌ই চলেছে শিশুদের পড়াশোনা। অনলাইনে‌ই চলেছে অফিস‌ও। যার জেরে মোবাইল ফোনের প্রতি তীব্র আসক্তি জন্মেছিল কম-বেশি সকলের‌ই। আর সেই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতেই স্থানিয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রণয়ন করা হয় এই নয়া নির্দেশিকা। যেখানে সন্ধ্যা ৭ টার পর ফোন, টেলিভিশন সমস্ত কিছু বন্ধের অনুরোধ করা হয় গ্রামবাসীদের। তিন হাজার বাসিন্দাদের মধ্যে সিংহভাগ পুরুষ‌ই এই নিয়মকে স্বাগত জানালেও প্রথমদিকে মহিলারা করেছিলেন চরম প্রতিবাদ। পরবর্তিতে নিজের সন্তানদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাঁরাও এই নিয়মে সম্মতি জানান। ফলে চলতি বছরের অগাষ্ট মাস থেকেই চালু করা হয় এই নিয়ম।

এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বিজয় মোহিত জানিয়েছেন, "করোনাকালে অনলাইন ক্লাসের দরুণ শিশুরা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে স্কুল কলেজ খুলে যাওয়ার পরও ছোট শিশুরা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে রয়েছে। তবে শুধু শিশুরা নয় সাথে বড়রাও অতিরিক্ত অপ্রয়োজনে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল অথবা টিভি নিয়ে সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন। ভুলে যাচ্ছেন পরিবারকে সময় দিতে।" অর্থাৎ কেবল‌ আসক্তি দূরীকরণ‌ই নয়, পারিবারিক বন্ধন মজবুত এবং মধুর পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে‌ই পঞ্চায়েতের এই নয়া উদ্যোগ বলেই খবর। পঞ্চায়েত এবং বাসিন্দাদের এই সমন্বয়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

Journalist Name : Uddyaloke Bairagi

Related News