#Pravati Sangbad Digital Desk:
দীপাবলীর দিনেই বিধ্বংসী আগুন বানতলার লেদার ফ্যাক্টরিতে। সোমবার দুপুর ২ টো নাগাদ হঠাৎই আগুন লেগে যায় কমপ্লেক্সটিতে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের মোট ১৬ টি ইঞ্জিন। উদ্ধার করা হয় ভিতরে থাকা ১১ জন শ্রমিককে। প্রায় ১০ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বাজির আগুনেই এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। মঙ্গলবার সকালেও চলছে কুলিংয়ের কাজ। আলোর রোশনাই এর মাঝেই নেমে এলো গভীর অন্ধকার। দীপাবলীর দুপুর, ঘড়ির কাঁটায় যখন ঠিক দু'টো বানতলার চর্মনগরীতে লেগে যায় বিধ্বংসী আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশেপাশের সমগ্র অঞ্চল। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। ধাপে ধাপে চলে আগুন নেভানোর কাজ। কমপ্লেক্সটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে আগুন লাগলেও প্রচুর রাসায়নিক এবং দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিল্ডিংএ। পাশাপাশি দমকা হাওয়ার প্রকোপে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কোনো জলাশয় না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। রীতিমতো হাইড্রোলিক ল্যাডার দিয়ে চলে আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া। দোতালার কাঁচ ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন দমকলের কর্মীরা। উদ্ধার করা হয় ভিতরে আটকে থাকা মোট ১১ জন শ্রমিককে। প্রচুর পরিমাণে 'পকেট ফায়ার' থাকায় কিছুতেই বাগে আনা সম্ভব হচ্ছিল না আগুনকে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান - "দুপুর ২টো নাগাদ আমাদের কন্ট্রোল রুমে খবর যায়। তৎক্ষণাৎ গাড়ি ও মই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১০ জন আটকেও ছিল এখানে। আগুন কেমিক্যাল থেকে, একটু সময় লাগে। একে ঝড় চলছে এর মধ্যে একটু সময় লাগবে।" এরপর কেটে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ১৬ টি ইঞ্জিন সহ দমকল বাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মধ্য রাতে শেষমেষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এখনো পর্যন্ত ভিতরে রয়ে গেছে একাধিক পকেট ফায়ার। মঙ্গলবারের সকাল হতেই দমকলের তরফ থেকে শুরু করে দেয়া হয় ডাম্পিং এবং কুলিংয়ের কাজ। দমকল সূত্রের খবর, আজ দুপুরের মধ্যেই আগুনকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। বানতলার এই লেদার কমপ্লেক্সটি ছিল শতাধিক শ্রমিকের অন্ন সংস্থানের জায়গা। আর গতকালের এই বিধ্বংসী আগুনের লেলিহান শিখা বিল্ডিংটির পাশাপাশি গ্রাস করেছে ওই কর্মহারা শ্রমিকদের আশা-ভরসা কেও। পরবর্তী দিনগুলিতে কিভাবে দুমুঠো অন্নের সংস্থান হবে সেই চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের শ্রমিকদের।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Uddyaloke Bairagi