#Pravati Sangbad Digital Desk:
চীন সীমান্তে পর্বতারোহণে গিয়ে গত আগস্ট থেকে নিখোঁজ অরুণাচল প্রদেশের প্রথম এভারেস্ট জয়ী তাপি ম্রা এবং তাঁর সঙ্গী নিকু দাও। তারা দু’জন পূর্ব হিমালয়ের তুষার আচ্ছাদিত মাউন্ট কিয়ারিসটামের দিকে যাচ্ছিলেন। অরুণাচল প্রদেশের সর্বোচ্চ তুষার-ঢাকা শৃঙ্গ ‘খায়ারো সাতাম’ যা ৬ হাজার ৯০০ মিটার উঁচু সেই বপদসঙ্কুল পর্বত জয়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁরা। পরিবারের আশঙ্কা, চিন সীমান্ত সংলগ্ন এই পর্বতশৃঙ্গ থেকে তাঁরা নিখোঁজ হয়নি তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে, এর পিছনে চিনা ফৌজের ভূমিকা থাকতে পারে বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের উদ্ধারের ব্যাপারে কোনও আগ্রহই দেখাচ্ছে না অরুণাচল প্রশাসন বা কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই ক্ষুব্ধ পর্বতারোহীদের পরিজন। প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে ইটানগরে বিক্ষোভে বসেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে,দাও এবং ম্রা গত ২৭ জুলাই ৭ জন কুলি নিয়ে গ্রাম থেকে রওনা দেয় পর্বতারোহের জন্য। ১৭ আগস্ট কুলিরা ফিরে আসলেও ফিরে আসেনি দুই পর্বতারোহী। ওই রাজ্যে জেলা প্রশাসন সেনাদের সাহায্য নিয়ে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালায় কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা সম্পন্ন হয়নি। অক্টোবর মাসে তাপির বাড়ির লোক তিনজন পর্বতারোহী নিয়ে আবার উদ্ধার অভিযান চালান তাদের খোঁজে কিন্তু ক্যাম্প থ্রি থেকে তাপি এবং নিকুর মালপত্র উদ্ধার হলেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। গ্রাম থেকে শিকার করতে বা ওষুধ খুঁজতে গিয়ে অনেক গ্রামবাসীই চিনা ভূখণ্ডে ঢুকে নিখোঁজ হয়ে যান।তাপি এবং নিকুর পরিজনেরা দাবি করছেন, এই দুজনকে চীনা সেনারা অপহরণ করেছে । তাপির বোন যাতক ভ্রা নালোর কথায়, 'গত ২৩ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর সঙ্গে আমরা দেখা করেছিলাম। বলেছিলাম, ওদের চিনা সেনা ধরে নিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। রাজ্য সরকার যেন বিষয়টা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে। চিনা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দু'জনকে খোঁজার চেষ্টা হোক। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোনও জবাব পাইনি।' তিনি আরও জানান , “ওঁরা বেঁচে আছেন নাকি, সেটাই তো জানি না। সরকার তৎপর না হলে আমরা অনির্দিষ্টকাল অনশন চালিয়ে যাব।' ইতিমধ্যে শনিবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নালো এবং তাঁর মা। একটু সুস্থ হতেই স্যালাইনের বোতল নিয়েই নালো রবিবার ফিরে এসে যোগদান দিয়েছেন বিক্ষোভে।
Journalist Name : Susmita Das