বহুমূত্র রোগের কারণ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহস্থ অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার আধিক্যজনিত রোগকে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস বলে। মানব শরীরে ডায়াবেটিস সংক্রমণ হয়েছে কিনা তার সংকেত কিছু শারীরিক লক্ষণ এবং উপসর্গের মাধ্যমে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। তবে বর্তমান চিকিৎসাশাস্ত্র প্রভূত উন্নত হওয়ার কারণে প্রাথমিক স্তরে এই রোগ ধরা পড়ে এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবপর। এ রোগে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তাই যাদের দেহে ইনসুলিন উৎপাদিত হয় খুবই কম। এ জন্য রোগীকে বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিন ইনজেকশন বা ইনসুলিন পাম্প নিতে হয়। শিশু ও তরুণদের মধ্যে এ ধরনের বহুমূত্র হয় বেশি। বহুমূত্র প্রধান উপসর্গ তৃষ্ণা একটি ধ্রুবক অনুভূতি। 
কারণ :
যে কারণে বহুমূত্র , বহুসংখ্যক কিন্তু বিশেষ মনোযোগ হতে পারে তাদের অধিকাংশই সাধারণ দেওয়া হবে।
ডায়াবেটিস - একটি রোগ যে প্রকৃতিতেও জন্মগত হতে পারে। এছাড়াও ঔষধ, এলকোহল অথবা কিডনি প্রভাবিত অন্যান্য বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিকশিত করতে পারেন। ডায়াবেটিস মেলিটাস মধ্যে বহুমূত্র মানব জীবনের প্রধান হুমকি প্রতিনিধিত্ব করে। রক্তের বিষক্রিয়া। গবেষণাতে দেখা গিয়েছে যে সাধারণত গর্ভাবস্থার শেষ দিকে মায়েদের এই অসুখ হয় এবং রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। দেখা গিয়েছে যে প্রসবের পরে এই অবস্থা আর থাকে না। এর অর্থ এই নয় যে একে হালকা ভাবে নেওয়া যাবে। যদি সময় মত ধরা না পড়ে এবং কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে গর্ভাবস্থা কালীন ডায়াবেটিস মা এবং শিশুর ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। দৃঢ় ভাবে সাথে সুপারিশ করা হচ্ছে যে নিজে থেকে কোন ওষুধ নেবেন না। ডাক্তারবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং বিধি-ব্যবস্থা নিন।  
ডায়াবেটিসে খাদ্যের ভূমিকা :
ডায়াবেটিক রোগীদের খাবার ক্যালোরির উপর নির্ভর করে। যা ব্যক্তির বয়স, ওজন, লিঙ্গ, উচ্চতা, কাজ ইত্যাদি উপর নির্ভর করে খাদ্য তালিকা তৈরি করা হয়। ডায়াবেটিক রোগীদের সঠিক পরিমাণ খাবার খাওয়া এবং সঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার ওপর বিশেষ নজর দিতে হয়। এখানে সাধারণ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাদ্যের তালিকা দেওয়া হল।
ডায়াবেটিস খাদ্য চার্ট :
সকাল ৬ টা ঃ একচামচ মেথিগুঁড়া এবং জল ।
সকাল ৭টা ঃ চিনি ছাড়া এক কাপ চা এবং ১-২টাবিস্কুট।
সকাল ৮.৩০ টায় ঃ ১ প্লেট উপ্পমা বা ওটমিলস + অর্ধ বাটি শস্যযুক্ত খাদ্য + ১০০ মিলিমিটার ক্রিম-মুক্ত দুধ চিনি ছাড়া।
সকাল ১০.৩০ মিনিটে ঃ ১টা ছোট ফল বা ১কাপ পাতলা এবং চিনি ছাড়া বাটারমিল্ক বা লেবুর জল।
মধ্যাহ্নভোজে ১-২টা মিশ্রিত আটার রুটি, ১ বাটি ভাত, ১ বাটি ডাল, ১ বাটি দই, অর্ধ কাপ সয়াবিন বা পনির সবজি, অর্ধ বাটি সবুজ সবজি, এক প্লেট স্যালাড।
৪ টা ঃ চিনি ছাড়া ১ কাপ চা + ১-২ চিনি কমবিস্কুট বা টোস্ট।
৬ টা ঃ ১ কাপ স্যুপ
৮.৩০ টা ঃ ২টি আটার রুটি, ১ টি বাটি চাল, ১ বাটি ডাল, আধা বাটি সবুজ সবজি, এক প্লেট স্যালাড।
১০.৩০ টা ঃ চিনি ছাড়া১ কাপ ক্রিম ফ্রি দুধ।

এছাড়া আপনার যখন খিদে পাবে তখন কাঁচা শাকসবজি, স্যালাড, কালো চা, সূপ, পাতলা বাটার, লেবুর জল ইত্যাদি খেতে পারেন। এছাড়া চিনি, মধু, মিষ্টি, শুকনো ফল এগুলি এড়িয়ে চলুন।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image


Journalist Name : Aparna Dutta

Tags:

Related News