গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বোটানিক্যাল গার্ডেন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ভূমিক্ষয়ের কারণে আলগা হচ্ছে গাছের গোড়া। নদীর কাছাকাছি এলাকার বেশ কিছু গাছের পতন ঘটছে। এই ভাঙনের মুখে রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেনও। গঙ্গার ক্ষয়ের কারণে নদীর নিচে তলিয়ে যেতে পারে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন। এই আশঙ্কাই করছেন বিশিষ্ঠ পরিবেশবিদরা। গার্ডেন কর্তিপক্ষ গঙ্গার ক্ষয়ের ফলে কিভাবে বোটানিক্যাল গার্ডেন ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে তা নিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর তৈরি এই বোটানিক্যাল গার্ডেন ক্ষয়ের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন রয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা। বোটানিক্যাল গার্ডেনের সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তা দেবেন্দ্র সিং জানান, কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে এসে সবকিছু দেখে গেছেন। গঙ্গার ক্ষয়ের এই বিষয় নিয়ে তিনিও বেশ চিন্তিত বলেই জানা যায়। বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা জানান, বোটানিক্যাল গার্ডেেনের একদম পাশেই রয়েছে গঙ্গা। এর কিছুটা ভাগ পড়েছে কলকাতার অধীনে ও বাকিটা রয়েছে বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দায়িত্ত্বে। তবে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী কি পদক্ষেপ নিতে চলেছেন সেটাই দেখার বিষয়। এই গার্ডেনের আয়তন ২৭৩ একর। বর্তমানে ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭ টি গাছ আছে এই উদ্যানে। ১৭৮৮ সালে কর্নেল কিড এই উদ্যানটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২৭০ বছরের পুরনো বটগাছ দেখা যায় এই গার্ডেনে। পরিবেশকর্মী বিশেষ দুঃখিত কারণ এই ঐতিহাসিক বাগান রক্ষায় সরকার তেমন কোনো কর্ণপাত করছেন না। সুভাষ দত্ত জানান, ' শিবপুর বি গার্ডেন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের নয়, দেশবাসীর কাছে গর্বের। সেটা যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা সঠিকভাবে নিশ্চিত করা দরকার। যাদের এটি দেখার কথা , তারা কি করছে?'। উলুবেড়িয়া বোটানিক্যাল ইনস্টিটিটের সম্পাদক আক্রামুল হক বলেন, " শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন একটা অমূল্য সম্পদ। মালদহ, মুর্শিদাবাদে নদী ভাঙনের ভয়াবহতা আমরা দেখছি। বি গার্ডেনের যাতে সেই দশ না হয়, সেইজন্য আমরা বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তাকে চিঠি দিয়েছি। এরপরেও পদক্ষেপ না নিলে আমরা সবাই আন্দোলনে নামবো"। 

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image




Journalist Name : Papri Chakraborty

Related News