গরম বাড়ছে তরতরিয়ে। তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতায় আজ শুক্রবারই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে, বেলা বাড়লে পারদ চড়বে ৪২ ডিগ্রিতে। রিয়েল ফিল ৪৫ ডিগ্রি। বেলা ১০টার পর থেকে বিকেল ৪টে অবধি রাস্তায় বেরোতে বারণ করছেন আবহাওয়াবিদরা। জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। এই প্রচণ্ড তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়েছে। এই সময় আর কী কী সমস্যা হতে পারে সে নিয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। সমাধানও জানাচ্ছেন।
আবহাওয়াবিদেরা সতর্ক করে বলেছে, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি সময়ই হল প্রাইম টাইম। এই সময় তাপপ্রবাহ আরও বাড়বে। আরও চার ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা। এই সময় চড়া রোদে রাস্তায় থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষ করে বাচ্চা, বয়স্কদের বার বার করে রোদে বের হতে মানা করা হয়েছে। যাঁদের আগে থেকেই নানারকম অসুখ রয়েছে, এই গরমে বাইরে বের হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়বে।
প্রচণ্ড রোদে বেশিক্ষণ থাকলে হিট র্যাশ বেরোয়। এতে শরীরের খোলা অংশে লাল প্যাচের মতো তৈরি হয়। সেখানে জ্বালাও করতে থাকে। অ্যাকিউট সানবার্ন হলে সমস্যা গুরুতর হয়, তখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এখন তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে সূর্যের গনগনে তেজ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বেশিক্ষণ রোদে থাকলে ঘামাচি, হিট র্যাশের সঙ্গেই সান বার্ন হতে পারে।
এই গরমে হিট ক্র্যাম্প হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে রক্ত ঘন হতে থাকে। মাথায় রক্তচাপ বাড়ে। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা আর রক্তচাপের মধ্যেও সামঞ্জস্য থাকে না। যার কারণেই স্ট্রোক হয়। এতে পেশিতে টান ধরে, মাথা ঘুরে জ্ঞান হারাতে পারেন। হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ থাকলে বিপদের ঝুঁকি বেশি।
তাপপ্রবাহের কারণে ডিহাইড্রেশন হয়ে যায়। পেট খারাপ, বমি হতে থাকে। বাইরের তাপমাত্রা শরীর সইতে না পারলে হজমের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ঘন ঘন হজমের সমস্যা হয়। এর মধ্যে বাইরের খাবার বা জাঙ্ক ফুড বেশি খেলে তা থেকে ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে। এমনও দেখা গেছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে টাইফয়েড হয়েছে রোগীর।