স্কুলের মধ্যেই গড়ে উঠেছে আস্ত এক মুদির দোকান। যার মালিক ওই বিদ্যালয়েরই এক শিক্ষক দম্পতি। অভিযোগ, স্কুলে পড়তে আসা পড়ুয়াদের দিয়ে বলপূর্বক চালানো হয় ওই দোকান। এমনকি পড়ুয়াদের দিয়েই ঝাঁট দেওয়ানো হয় তথাকথিত শিক্ষক মহাশয়ের মুদি দোকান। এই আশ্চর্যজনক ঘটনাটি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হলদিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ঘটনা নজরে আসতেই বিক্ষোভ অভিভাবকদের।
আস্ত এক স্কুল থাকতেও হয় না পড়াশোনা। কারণ বিদ্যালয়ের মধ্যেই শিক্ষক মহাশয় খুলে বসেছেন মুদির দোকান। অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই দোকান নাকি পড়ুয়ারাই চালায়। মালিকরা শুধু হিসাব মিলিয়ে নেন। এমনকি দোকানের সাফাইও করতে হয় পড়ুয়াদের৷ জানা গিয়েছে, স্কুলের ওই শিক্ষক আবার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি৷ তিনি নাকি ‘আসি যাই মাইনে পাই’ শব্দবন্ধকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন৷
গত এক মাসে একদিনই তাঁকে স্কুলে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। হলদিবাড়ি গ্রামের মানুষজন জানাচ্ছেন, এই স্কুলে দীর্ঘদিন ধরেই অব্যবস্থা চলছে৷ শিক্ষকরা সময়মতো আসেন না, স্কুলে জাতীয় সংগীত চলার সময় তাঁরা চেয়ারে বসে থাকেন৷ বাচ্চাদের দিয়েই তাঁরা গোটা স্কুল সাফাই করান।
অভিভাবক অজয় রায় বলেন, “স্কুলের মধ্যে দোকান থাকবে কেন? শিক্ষকরা যদি চাকরির সঙ্গে স্কুলে ব্যবসাও করেন, সেটা কি ঠিক? আর মানিক মাস্টার স্কুলে আসেন না-বললেই চলে৷ আমাদের দাবি, স্কুলে পড়াশোনাটা ভালো করে হোক৷ বাচ্চাগুলো শিক্ষিত হোক৷”
অভিযুক্ত শিক্ষক তথা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস বলছেন, “আমি স্কুলে আসি কি না, তার প্রমাণ বাচ্চারা আর অন্যান্য শিক্ষকরাই দেবেন৷ এসব ভিত্তিহীন কথাবার্তা৷ বিরোধী দলের সঙ্গে জড়িত কিছু লোক এসব ষড়যন্ত্র করছে৷ তবে পার্টির কাজের জন্য আমাকে কিছু ছুটি নিতে হয়৷ কিন্তু আমি চাকরি করি৷ স্কুলে তো আসতেই হবে৷ তবে স্কুলের ভিতর একটা দোকান রয়েছে৷ পড়ুয়াদের জন্যই এই দোকান খোলা হয়েছে৷"