এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে। মাদক পাচারের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ১৭ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির কোরক হোমে কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।হোমে এক আবাসিক কিশোরের আস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়ি পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যান পুলিশের পদস্থ অধিকারিকরা। পরে পুলিশ পাহারায় দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কোচবিহারের বাসিন্দা। মৃতের ভাই এসে বৃহস্পতিবার দেখা করে যাওয়ার পর ওই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের পরিবার অভিযোগ করেছেন, মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পরেও আত্মীয়দের হোমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। টানা প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে হোমের গেট বন্ধ করে রাখা হয়। পরে আত্মীয় এবং স্থানীয়েরা ভিতরে প্রবেশ করে। জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার টাপুর হাট এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরের নাম লাবু ইসলাম। এক বছর আগে মাদক সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে জলপাইগুড়ি কোরক হোমের চাইল্ড কনফ্লিক্ট উইথ ল বিভাগের আবাসিক হয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোমের একটি ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, মৃত্যুর কোনও খবর তারা পাননি। টেলিফোনে অসুস্থতার খবর পেলেও তাঁদের হোমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। হোমের গেটে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় টানা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। অতক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়েও কিছু জানান হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। অপরদিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরতেই কোরক হোমের গেটের বাইরে আশপাশের লোকেরা জমায়েত হতে থাকে। শুধু তাই নয়, ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে উত্তেজিত লোকেরা হোমের প্রধান গেটে ঠেলেই ভেতরে ঢুকে পড়ে। এর হোমের যে ভবনে এই ঘটনা, সেই ভবেনের ঢোকার জন্যও গেটেও ঠেলাঠেলি করতে থাকেন তাঁরা।