ফের বোমাবাজি কাণ্ডে আতঙ্ক ছড়াল বারুইপুর এলাকায়

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

রাজ্যে ফের বোমাবাজির ঘটনা। ভাঙড়, টিটাগড়ের পর এবার বারুইপুর। এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অবসরপ্রাপ্ত ওই আধিকারিকের বয়স প্রায় ৯০ বছর। আকস্মিক এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছে গোটা পরিবার। কী কারণে এভাবে বোমা ছোড়া হল, কারাই বা এ কাজ করল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ বোমাবাজির ঘটনা ঘটে বারুইপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধপধপি রোডে। প্রাক্তন ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক নিকুঞ্জ বিহারী দাসের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রাতেই খবর দেওয়া হয় বারুইপুর থানার পুলিশকে। নিকুঞ্জ বাবুর অভিযোগ, বাইকে করে এসে দুই দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে দুটি বোমা মেরেছে। তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।

বাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছে বোমাবাজিতে। চারপাশে পোড়া দাগ। ৯০ বছর বয়সী নিকুঞ্জ বাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘‘বাড়িতে আমি, আমার স্ত্রী ও ছেলে থাকি৷ রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যাচ্ছিলাম৷ সেই সময় হঠাৎই বিকট শব্দ শুনতে পাই৷ সেই সঙ্গে ধোঁয়া আর বারুদের গন্ধ৷ এরপর আবারও শব্দ৷ জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে৷ তখনই বুঝতে পারি কে বা কারা আমার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ছে৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ছেলে চাকরি করেন৷ ও সকালে অফিস বেরিয়ে যাওয়ার পর বাড়িতে আমি আর আমার স্ত্রী থাকি৷ এই এলাকায় এতো বছর ধরে রয়েছি৷ কখনও এরকম ঘটনা ঘটেনি৷ এদিন কেন এরকম হল বুঝতে পারছি না৷ কারণ আমার সঙ্গে কারোর কোনো শত্রুতা নেই৷ কেন আমার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হল বুঝতে পারছি না৷ খুব ভয়ে আছি৷’’ তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সবাই মিলেমিশে আছি। কেউ ভাবতেই পারছেন না যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি জানান রাতে যখন সবেমাত্র খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়েছে, তখনই প্রথম বোমার আওয়াজ পান তাঁরা। পরে আবারও বোমার শব্দ হয়। তারপর ঘর ভরে যায় ধোঁয়া আর বারুদের গন্ধে।

ঘটনার তদন্তে নেমেছে বারুইপুর থানার পুলিশ৷ উক্ত ঘটনাস্থল থেকে তারা বোমার খোল উদ্ধার করেছে৷ তবে কারা এমন কাজ করেছে, তার খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ আতঙ্কে ভুগছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক নিকুঞ্জ বিহারী দাস ও তাঁর পরিবার সহ স্থানীয়রা৷ এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাংসদ তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যে শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। যারা সমাজবিরোধী, তারা যা খুশি তাই করছে। সেক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকাও নিষ্ক্রিয়৷ শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়ে মুখ খুলছেন না৷’’

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News