পেয়ারা শুধু ফল হিসেবেই নয় , এর পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

পেয়ারা অনেকের প্রিয় ফল এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে চরম উপকারী। তাই অনেক ডাক্তার পেয়ারা খেতেও বলে। তবে কেবল পেয়ারা নয়, এর পাতা স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী, যা অনেকেরই জানা নেই। পেয়ারা পাতার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, পুষ্টি উপাদান এবং ঔষধি গুণগুলি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। NCBI-এর মতে, পেয়ারা পাতা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। যা শরীরের কোনও রকম ক্ষতি না করেই সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। আছে পলিফেনল, ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভিনয়েড, ট্যানিন। যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ভীষণ রকম উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেয়ারার ফলের পাশাপাশি এর বীজ, খোসা ও পাতা সবই স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। পেয়ারা পাতার নির্যাস বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আয়ুর্বেদিক ওষুধের একটি অংশ হয়ে উঠেছে।
জেনে নিন পেয়ারা পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা-
•পেয়ারা পাতায় ডায়রিয়া প্রতিরোধী গুণ রয়েছে। এর পাশাপাশি পেয়ারা পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-হেলমিন্থিক বৈশিষ্ট্য পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
•পেয়ারা পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা চুলের জন্যও খুবই উপকারী। পেয়ারা পাতার রস চুলে লাগালে চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা কমে যায়। সেইসঙ্গে নতুন চুল গজাতেও দারুণ কার্যকরী। পেয়ারা পাতার রস চুলের গোড়া মজবুত করতেও সাহায্য করে। চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে পেয়ারা পাতার রস নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য উপকারী।
•দাঁতের ব্যথা কমাতে পেয়ারা পাতার জল খুব উপকারী। জলের সাথে পেয়ারা পাতা পিষে দাঁতে ব্যথা উপশম হয়। এ ছাড়া কাঁচা ও ব্রঙ্কাইটিস উপশমে পেয়ারা পাতার চাও বেশ কার্যকর।
• পেটের ব্যথা কমাতে পেয়ারা পাতা বেশ কার্যকর। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পেটের ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে।
• পেয়ারা পাতার রস ওজন হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পাতা ফ্যাট কমাতে কাজ করে। এটি ডায়রিয়া থেকে মুক্তি দেয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে পেয়ারা পাতার পেস্ট বানিয়ে তা পান করতে পারেন। 
•নিউট্রিশন অ্যান্ড মেটাবলিজম পত্রিকায় প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে টানা ৮ সপ্তাহ পেয়ারা পাতা দিয়ে বানানো চা পান করলে রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হার্টের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের করোনারি আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
•গত কয়েক দশকের পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে বুঝতে পারবেন আমাদের দেশে কীভাবে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পয়েছে। এমন পরিস্থিতে পেয়ারা পাতা দিয়ে বানানো চায়ের গুরুত্ব যে অনেকাংশেই বৃদ্ধি পয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বরে করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, গবেষণায় দেখা গেছে পেয়ারা পাতায় উপস্থিত লাইকোপেন নামক একটি উপাদান ব্রেস্ট, প্রস্টেট এবং ওরাল ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে 

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image



Journalist Name : Susmita Das

Related News