মৌসুমি ফলের নানা গুন। আর সেটা যদি হয় আনারস তাহলে কথাই নেই। অসংখ্য গুনে সমৃদ্ধ আনারস যা স্বাদে, গন্ধে এবং গুনে অদ্বিতীয়। এই ফল খেয়ে শরীরের জলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি পুষ্টিও পাওয়া যায়।
আনারসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, সি এবং ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে। এসব উপাদান আমাদের দেহের অতিরিক্ত অভাব পুরনের পাশাপাশি পুষ্টির অভাব পুরনে কার্যকারী ভুমিকা পালন করে।
ওজন কমাতেঃ অনেকেই জানেন না যে আনারস আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রনে এক বিরাট ভুমিকা পালন করে। আনারসে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে অনেক কম পরিমানে ফ্যাট। ফলে সকালের খাওয়ারে সাথে আনারসের জুস খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
হাড় মজবুত করতেঃ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। ক্যালশিয়াম হাড়ের গঠনে এক বিরাট ভুমিকা পালন করে। পাশাপাশি ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। এছাড়াও হাড়ের যেকোনো সমস্যার জন্য আনারস উপকারী।
দাঁতের মাড়ি সুরক্ষায়ঃ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালশিয়াম যা দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। এছাড়াও মাড়ি মজবুত করে। এছাড়াও আনারস খেলে দাঁত জীবাণুমুক্ত থাকে।
চোখের পক্ষে ভালোঃ আনারস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখাগেছে যে ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশান থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে এবং আমাদের আসতে আসতে অন্ধ করে দেয়। এতে থাকা বেটা ক্যারোটিন এই রোগ হওয়া থেকে আমাদের বাঁচিয়ে দেয়।
পুষ্টির অভাব দূর করেঃ আনারস পুষ্টির বেশ বড়ো একটি উত্স। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ও ফসফরাস। এইসব উপাদান আমাদের শরীরের পুষ্টির অভাব পুরনে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
হজম শক্তি বাড়ায়ঃ আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন। যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বদহজম বা হজমজনিত যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আনারস প্রতিদিন খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
রক্ত জমাটে বাধা দেয়ঃ দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় এই ফল। ফলে শিরা ধমনীর (রক্তবাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে। হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে। হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে।