#Pravati Sangbad Digital Desk:
আমাদের দেশের প্রধান সম্পদ কৃষকরাই। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই আমাদের খাবারের অভাব হয় না। দিনরাত পরিশ্রম করে তারা যে ফসল ফলান তাতে শুধুমাত্র আমাদের খাবার জোগানই হছে তা নয়, তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সামান্য রুজি রোজগার থেকে তারাও গড়ে নিচ্ছেন তাদের অদূর ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই ফসল ফলানোর আগেই চাষের জমিতে যদি কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাহলে তার উপায় কি? এবং সেই ক্ষতির কারণই বা কি? বর্তমানে বহু কৃষক যে ক্ষতিটির সম্মুখীন বারংবার হচ্ছেন তা হল গম চাষে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া। বিশেষজ্ঞ টা জানিয়েছেন উষ্ণতা হ্রাস পেয়ে যাওয়ার কারণেই গম চাষে কৃষকরা এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
সাধারণত উদ্ভিদের পুষ্টির অন্যতম একটি উপাদান হলো নাইট্রোজেন যা তারা সরাসরি নাইট্রেট এ রূপান্তরিত করে, কিন্তু তাপমাত্রা অধিক পরিমাণে নেমে যাওয়ার কারণে উদ্ভিদের মাইক্রোবিয়াল গতিবিধি কমে যায় যার ফলে উদ্ভিদ অধিক পরিমাণে নাইট্রোজেন গ্রহণ করতে পারে না, এবং এই নাইট্রোজেনই উদ্ভিদের নিচের দিক থেকে ক্রমশ উপরের দিকে উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে পাতায় ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে উদ্ভিদের পাতা হলুদ হয়ে যায়। কেন হয় তা তো জানতে পারলাম কিন্তু এর সমাধান? তাপমাত্রা হ্রাসকে তো আর প্রতিরোধ করা যাবে না তাই জয়পুরের বাসিন্দা এগ্রিকালচার স্নাতক রাজেশ মিনা জানিয়েছেন এটি একটি সাধারন সমস্যা। এটিকে গাছের কোন রোগ বলা যেতে পারে না। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে যেহেতু এই সমস্যা দেখা দিয়েছে তাই কিছুদিন পর আবহাওয়ার স্বাভাবিক মাত্রায় সমাধান হয়ে দাঁড়াবে এই সমস্যার। তাই চিন্তার কোন কারণ নেই। কিন্তু যদি কোন কৃষক একান্তই এই সমস্যায় ভোগেন তবে তিনি তাকে চাষের জমিতে ইউরিয়া স্প্রে করতে নির্দেশ দিয়েছেন , এছাড়াও জিপসাম ও ইউরিয়ার মিশ্রণ ও ব্যবহার করা যেতে পারে। উষ্ণতার পারদ ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ঠান্ডার হাত থেকে ফসল কে বাঁচাতে জমিতে হালকা সেচ ব্যবহার করার নির্দেশও দিয়েছেন রাজেশ মিনা।
Journalist Name : Joly Pramanick