Flash news
    No Flash News Today..!!
Monday, May 6, 2024

জেনে নিন শসার ভিন্ন উপকারিতা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

শসা সবজি নয়। উদ্ভিদবিজ্ঞানের সঙ্গানুসারে এটা একটি ফল। এতে ৯৫% পর্যন্ত জল থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শসায় অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যেমন পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন সি। ফুল থেকে হয় শসা যাতে থাকে বীজ। একই ভাবে অনেক সবজিই আসলে ফল, যেমন- শুঁটি, ক্যাপ্সিকাম, কুমড়া এমনকি টমেটো। শরীর সুস্থ-সবল রাখতে খুব উপকারী ও দরকারী সবজিটির নাম হলো শসা । শসার উপকারিতা অনেক বেশি। অনেক রোগের ক্ষেত্রেই রোগীরা শসা খেতে পারেন। কারণ শশার অনেক বেশি খাদ্য ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। শুধু শরীরকে সুস্থ রাখতেই নয়, রুপচর্চা জন্য শসা নিয়মিত খাওয়া দরকার। শসার উপকারিতা পাশাপাশি শসার অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরী। দেহের পানিশূন্যতা দূর করে ধরা যাক আপনি এমন কোনো জায়গায় আছেন, যেখানে হাতের কাছে  জল নেই, কিন্তু শসা আছে। একটা শসা খেয়ে নিলে পিপাসা একেবারেই মিটে যাবে। কারণ- শসার ৯০ ভাগই পানি। শরীরের ভেতর-বাইরের তাপ শোষক কিছু কিছু সময় আপনি শরীরের ভেতর ও বাইরে প্রচণ্ড পরিমাণে তাপ বা গরম অনুভব করেন। তখন ওই অবস্থায় শসা খেয়ে নিন। এছাড়াও সূর্যে তাপে ত্বক মধ্যে জ্বালা-পোড়া অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিবেন। কয়েকদিনের মধ্যে কার্যকারী ফল পাবেন।

দেহের বিষাক্ততা দূর করে
শসায় যা পানি থাকে তা আমাদের শরীরের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেক অনেক বেশি কাজ করে। আবার প্রতিদিন শসা খাওয়ায় ফলে কিডনির মধ্যে থাকা পাথরও গলে যায়।
আর্থারাইটিস হার্টের রোগ অস্টিওপোরেসিস এবং কনস্টিপেশন প্রতিরোধে শসা ভালো কাজ করে।
বয়স্কদের মধ্যে অ্যালঝেইমার্স ও অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে শসায় থাকা ফিসটিন নামক এক ধরনের আন্টি ইনফ্লামেটরি যৌগ।
ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে দৈনিক আমাদের দেহে যেগুলো ভিটামিনের প্রয়োজন হয়, তা বেশির ভাগই শসার মধ্যে রয়েছে। সবুজ শাক-সবজি, গাজর, শসা একসাথে পিষে রস করে খেলেই শরীরের তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। শসায় থাকা ভিটামিন-কে এবং ক্যালসিয়াম শরীরের হাড়কে মজবুত করে তোলে। ভিটামিন-কে হাড়ের ক্ষয়রোগের ঝুঁকি কমায় এবং শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। ভিটামিন-বি১, ভিটামিন-বি৫ এবং ভিটামিন-বি৭ রয়েছে শসায়। নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে এসব উপাদান মানুষের উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে টমেটো। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যদি শুধু টমেটো খাওয়া যায় তাহলে ইতিবাচক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও রক্তস্বল্পতা দূরীকরণেও সহায়তা করে টমেটো। টমেটোর রস মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল রাখে। মানুষের বয়স বৃদ্ধির সময় মুখে বয়সের চাপ পড়ে, কিন্তু নিয়মিত টমেটো খাওয়ার ফলে সেই ছাপ ধীরে ধীরে মুছে যায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে টমেটো।


Journalist Name : Aparna Dutta

Related News