লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে মোটা হয়ে গেলে, রোগা হওয়ার সহজ উপায় জেনে নিন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

লিভারে ফ্যাট ! সাবধান। মোটা হওয়া এখন একটা কমন সমস্যা। কিন্তু রোগা থাকতে আমরা সবাই চাই। না চাইলেও ধীরে ধীরে মোটা হয়ে যাচ্ছি। আর মোটা হয়ে গেলে কিন্তু আমাদের লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে থাকে যা পরবর্তীকালে বড় রোগের সম্মুখীন করতে পারে আমাদের। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার দিক থেকেও খুব একটা রুটিন অনুযায়ী আমরা চলতে পারিনা এটাও একটা বড় সমস্যা। তাই ধীরে ধীরে যারা মোটা হয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট যাতে না জমে।তাই মোটা হয়ে গেলেও সঠিক নিয়মে রোগা হোন এবং লিভারের অতিরিক্ত ফ্যাটের সমস্যা থেকে মুক্তি পান। এক্ষেত্রে একটি ভুল ধারণা নিয়ে আমরা থাকি যে, না খেলে হয়তো আমি রোগা হব, কিন্তু না আপনাদের জানাই এটি হলো একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। না খেয়ে নয় বরং সঠিক পুষ্টিকর খাবার খেয়েই আপনি মোটা থেকে রোগা হতে পারেন এবং শরীরের বিভিন্ন রোগের সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।কিন্তু সঠিক নিয়মটা কি আমরা সকলেই জানি? কিভাবে খেতে হবে? কতবার খেতে হবে? নাকি না খেয়ে থাকতে হবে? মোটা থেকে রোগা হওয়ার জন্য আমরা মনে করি না খেয়ে থাকলে মনে হয় আমি রোগা হব। কিন্তু এটি হলো একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ রোগা হওয়ার জন্য আপনাকে একটা রুটিন অনুযায়ী চলতে হবে কিন্তু না খেয়ে নয়। আপনি খাবেন কিন্তু নিয়ম মাফিক। এবং বারবার খেতে হবে।চলুন এবার জেনে নিই কি কি খাবেন আর খাবেন না সঠিক নিয়মটা কি।

সবার প্রথমে যেটা জানা দরকার সেটি হল যেকোনো রোগের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আমাদের নিজেদের জীবনধারণ পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা। যা থেকে আমরা কোন ওষুধ ছাড়াই যেকোনো ধরনের রোগের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারি। লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমলে আমরা প্রথমেই ডাক্তারের কাছে সুচিকিৎসার জন্য ছুটে যায় কিন্তু প্রথমেই আপনাদের জানাই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে সমাধানের উপায় ডাক্তারের হাতে নয় থাকে আমাদের নিজেদের হাতেই। প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে কয়েকটা জিনিস আমাদের বাদ দিতে হবে যেমন ধরুন ময়দার জিনিস যে কোন ময়দার জিনিস আপনি যতটা পারবেন কম খাবেন। এছাড়াও ঘি,বাটার,চিজ ইত্যাদি মিল্কফ্যাট জাতীয় খাবার আমাদের ত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি সেটি হল এলকোহল আমরা সকলেই জানি অ্যালকোহল কিন্তু আমাদের লিভারের সরাসরি ক্ষতি করে তাই অ্যালকোহল সেবন একেবারেই করা যাবে না। খুব বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে, আপনার যদি রাস্তার মোড়ের কোনো শরবত বা যেকোনো ধরনের খাবার আপনার খাওয়ার অভ্যেস থেকে থাকে তাহলে আপনি তা আজই ত্যাগ করুন। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় সঠিক পরিমাণে প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি ইত্যাদি প্রোটিন যুক্ত খাবার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে। না খেয়ে নয় বরং সঠিক পুষ্টিকর খাবার খেয়েই আমরা লিভারের অতিরিক্ত ফ্যাট থেকে রক্ষা পেতে পারি। যার জন্য আমাদের চর্বিযুক্ত খাবার, ভাজাভূজি এবং তেল জাতীয় বিভিন্ন খাবার এবং খাবারে কম তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস আমাদের করতে হবে। 
উপরিউক্ত বিষয়গুলি মেনে চলুন এবং সঠিক নিয়ম  মেনে লিভারের অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে ফেলুন।

Journalist Name : Joly Pramanick

Related News