উচ্চ শিক্ষায় বিষয় বাছুন "প্রাণিবিদ্যা"

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাকরির বাজার পরিবর্তন হচ্ছে। আগের মত যেকোন একটি বিষয় পড়াশোনা করলেই চলবে না। আগে ভাগে জেনে নিতে হবে, কোন বিষয় পড়াশোনা করলে কর্ম জীবনে সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়া যাবে। বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশ কিছু চাহিদা সম্পন্ন বিষয়ে পড়ানো হয়। এরমধ্যে অন্যতম উদ্ভিদবিজ্ঞান। প্রাচীন গ্রীসের এরিস্টটল, মধ্যযুগের আরব দার্শনিক আল জাহিজ কিংবা ষোড়শ শতাব্দীর কনরাড গেসনার, যুগে যুগে এমন বহুমুখী প্রতিভাধর মানুষদের হাত ধরে একটু একটু করে প্রতিষ্টিত হতে থাকে প্রাণীজগৎ সম্পর্কিত নানাবিধ জ্ঞান অর্জনের এই চমৎকার একটি শাখা তথা প্রাণিবিদ্যা। শুরুর দিকে অনেকটা দর্শনের ছাঁচে গড়ে ওঠার দরুণ প্রাণী সম্পর্কিত জ্ঞান চর্চার শাখাটি দর্শনের একটি অংশ ‘ প্রাকৃতিক দর্শন’ এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। সাধারণত, প্রাণিবিদ্যা, প্রাণী বিজ্ঞান এবং ল্যাব এবং ক্ষেত্রকর্ম সম্পর্কে আপনার গভীর জ্ঞান আপনাকে পরিবেশ, কৃষি এবং ওষুধ শিল্পে ক্যারিয়ারের জন্য সজ্জিত করতে পারে। 

 তুমি যদি ভ্রমণ প্রিয় হও,সমুদ্র প্রিয় হও, বিভিন্ন খামার পরিদর্শন প্রিয় হও তাহলে প্রাণিবিদ্যা তোমার জন্যেই...কারণ প্রতি ইয়ারেই টুর থাকে যেটা অনেকটাই বাধ্যতামূলক যেমন থার্ড ইয়ার সমুদ্র ভ্রমণ বাধ্যতামূলক কারণ এখানে প্রতিবেদনের উপর মার্কস থাকে...।


প্র‌্যাক্টিক্যাল ক্লাসে ডিসেকসনে যেমন ঝামেলা আছে তেমন উপভোগ্য আছে। তুমি অনেক নতুন কিছুই জানবে দেখবে....তোমার অন্য ডিপার্টমেন্টের ফ্রেন্ড জাস্ট হয়তো আরশোলা,টিকটিকি,কেচো,টাকি মাছ,চিংড়ি ইত্যাদিই দেখবে কিন্তু তুমি এগুলোর মাঝে অন্য কিছুও দেখবে !!!

এবার আসি মেইন পয়েন্টে..... 

আমরা আসলে ম্যাক্সিমাম ই জানার জন্যে আর পড়ি না। শেখার জন্যে পড়ি না, আগেই ভাবে এটা পড়ে আমার ক্যারিয়ার কি হবে....!? 

সবাই ডা. ইঞ্জিনিয়ার কেন পড়তে চাই ??? বিকজ পড়া শেষে ক্যারিয়ার নিয়ে তেমন একটা হ্যাপা পোহাতে হয় না, অনেক আর্ন করা যাই এক্সসেট্রা এক্সসেট্রা....!

ক্যারিয়ার এর কথা বললে প্রাণিবিদ্যা এগিয়ে না থাকলেও আমি প্রাণিবিদ্যার স্টুডেন্ট হয়ে জোর দিয়ে বলবো অন্য কোনো সাবজেক্ট এর তুলোনায় পিছিয়েও নেয়...

বিশ্বাস না হওয়ার ই কথা.

চলো জব ক্ষেত্র গুলো দেখে নেওয়া যাক...


বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালে প্রাণিবিদ্যা হাইলি ডিমান্ডেবল সাবজেক্ট সেটা অন্তত বলার অপেক্ষা থাকে না.... 

মৎস‌্য অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ..

যেখানে ম্যাথ, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ইত্যাদি সাবজেক্ট থেকে কিছু পোস্টে সম্ভব না।

বন অধিদপ্তরে জবের সুযোগ যেখানে অন্যান্য ম্যাক্সিমাম সাবজেক্ট গুলো থেকে এপ্লাইয়ের সুযোগ ই থাকে না..

এবার আসি বি.সি.এস এ সব সাবজেক্ট থেকেই বি.সি.এস দেয়া যাই, এটা সত্য কিন্ত তুমি যদি বি.সি.এস এর বিগত সার্কুলারের সাধারণ শিক্ষার পোস্ট দেখো তাহলে দেখবে অন্যান্য সাবজেক্ট এর মতোই আমাদের সাবজেক্ট এ পদ খালি আছে...

কথা হলো তাহলে বেনিফিট কি ?

হুম...বেনিফিট হচ্ছে প্রতিযোগিতা কম...!!!! বিশ্বাস না হলে নিজেই তুলনা করো.... 

বি.সি.এস ফিশারিজে শুধু ফিশারিজ সাবজেক্ট যারা পড়ে শুধু তারাই নিয়োগ পেতো কিন্তু পি.এস.সি এখন প্রাণিবিদ্যা কেও এলাউ করেছে বিশ্বাস না হলে ৩৮,৪০,৪১ তম বি. সি.এস সার্কুলার দেখো...

এতে লাভ কি হলো ? 

অন্য সাবজেক্ট এর তুলনায় তোমার বি.সি.এস এ সিট সংখ্যা বাড়লো যেটা ম্যাথ,কেমিস্ট্রি ইত্যাদিতে সম্ভব ছিলো না..... 

বি.সি.এস বন এও প্রাণিবিদ্যা চয়েজ দিতে পার‌বে যেটা অন্য ম্যাক্সিমাম সাবজেক্ট থেকেই দেয়া যাই না....

Journalist Name : Aparna Dutta

Tags:

Related News