ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক উপসর্গ কি জেনে নিন

banner

#Pravati Sangbad Digita Desk:

লিভার আমাদের  সকলের  শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গের খেয়াল রাখাটা আমাদের প্রতিটি মানুষেরই কর্তব্য। আসলে পেটের অন্দরে থাকা এই অঙ্গটি বাইল তৈরি করে। এই বাইল  আমাদের  শরীরে হজমে সাহায্য করে  থাকে । এছাড়া প্রোটিন তৈরিতেও ভূমিকা রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির । এছাড়া লিভার দেহে আয়রন  জমা রাখে। পাশাপাশি পুষ্টিদ্রব্য থেকে এনার্জি তৈরি করতে পারে এই অঙ্গ। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই অঙ্গটি নিয়ে  যথেষ্ট সচেতন  হওয়া  জরুরী । এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের আমরা খেয়াল রাখতে  যদি না পারি  তাহলে শুধু লিভার নয়, গোটা শরীরেই নানা সমস্যা  দেখা দিতে পারে । এমনকী শরীর সার্বিকভাবেও খারাপ হতে পারে এই অঙ্গটি ঠিকমতো কাজ না করতে পারলে। এবার লিভারের নানা রোগের মধ্যে  অন্যতম একটি  রোগ হল  ফ্যাটি লিভার। এই রোগের ক্ষেত্রে লিভারে জমে ফ্যাট। এক্ষেত্রে লিভারের ভিতরে ফ্যাটের একটি আস্তরণ জমা হয়।আজকাল প্রায় ঘরে ঘরে লিভারে ফ্যাট জমার সমস্যা রয়েছে। অবশ্য, লিভারে একটা ন্যূনতম পরিমাণ ফ্যাট তো থাকবেই। তবে আপনার লিভারের ওজনের থেকে যদি তা ৫-১০ শতাংশ বেশি হয়, তবেই তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হবে। লিভারের ফ্যাট দুরকমের হয় অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। দীর্ঘদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করেন যারা তাদের মধ্যে এই অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুন। অন্যদিকে একটানা খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম ও খারাপ লাইফস্টাইলের কারণে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা যায়। এবার কি করে বুঝবেন আপনার লিভারে ফ্যাট হয়েছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম দিকে ফ্যাটি লিভারের সমস্যার তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে রোগ কিছুটা বেড়ে যেতেই শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করে।
 
•ফ্যাটি লিভার হলে মাথাব্যথা, মন খারাপ ও ডিপ্রেশন, আচমকা কাঁপুনিসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। 
•হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি সমস্যা হতে পারে। পেটে ব্যথা হতে পারে ।
•শরীরে মেদ জমছে, আর তার সঙ্গে ঘন ঘন ক্লান্ত হয়ে  পড়েন , তাহলে এমন হলে কিন্তু বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কোনও কারণ ছাড়া ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ।
•ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের খিদেও বেড়ে যায়। এমন সময়ে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়লে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে।
•নখ বা চোখ হলদেটে লাগলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।
•ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন ভাল করে বেরোতে পারে না। তাই নজর রাখুন প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পরেও একটানা প্রস্রাবের রং হলুদ হতে থাকলে ও অতিরিক্ত দুর্গন্ধ থাকলে ফ্যাটি লিভার পরীক্ষা করান।
ফ্যাটি লিভার মানেই লিভারের ওপর ফ্যাট, এই  সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে নিত্যদিনের জীবনযাপনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রথমেই শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাতে হবে। এর জন্য খেতে হবে সুষম আহার। তেল, ঝাল, মশলা বেশি খাওয়া যাবে না। পান করবেন না মদ। করতে হবে নিয়মিত শরীরচর্চা। নিয়মমাফিক এই কাজগুলো একটানা করে গেলে লিভারে জমে  থাকা ফ্যাট আসতে আসতে কমতে থাকবে। 

Journalist Name : Susmita Das

Related News