রাজ্যের সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি বহু দিনের, সে নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি। কলকাতা আদালতের গত ৪ই নভেম্বরের পর্যবেক্ষণ, “আদালতের রায় কার্যকর করতে অনন্তকাল ধরে অপেক্ষা করা যায় না”, তারপরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। গতকাল দেশের শীর্ষ আদালতে সেই মামলারই শুনানি ছিল।
গতকাল শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “কলকাতা হাইকোর্টের রায় শুনতে হবে রাজ্যকে”, যদিও আদালত অবমাননার মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সাথে রাজ্য সরকার এবং সরকারি কর্মী সংগঠন পক্ষের আইনজীবীকে আগামী ১৪ই ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের দুই পক্ষের যুক্তি লিখিত আকারে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০শে মে কলকাতা হাইকোর্টে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় হারে কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। পরে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য, কিন্তু সেখানেও রাজ্যের কর্মীদের পক্ষেই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, “মহার্ঘ ভাতা কর্মীদের ন্যায্য অধিকার, তার থেকে কর্মীদের বঞ্চিত করা যায় না”।
তারপরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য, কিন্তু গতকাল শীর্ষ আদালতে রাজ্যের দাবি সরকার, সরকার পোষিত এবং পেনশনভোগীদের কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে রাজ্যর মোট খরচ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। রাজ্যের আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যা বর্তমানে রাজ্যের পক্ষে কার্যত অসম্ভব।