সুস্থ শরীর বজায় রাখতে গাজর ও বীটের উপকারিতা

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

নিজের সৌন্দর্য বজায় রাখার পাশাপাশি শরীরের সচেতনতা নিয়েও ভাবা দরকার। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমরা নানান পদ্ধতি অনুসরণ করে চলি। কেউ ডায়েটের মধ্যে দিয়ে নিজেকে সুস্থ ও সবল রাখতে চান , আবার কেউ বাজারে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন ওষুধের উপর নির্ভর করে থাকেন আবার অনেকেই আছেন পুষ্টিকর ফল , শাক - সবজির মধ্যে দিয়ে নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।

শরীরের পুষ্টির জন্য প্রচুর ফল ও শাক - সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক ও ডায়েটেশিয়ানরা। গাজর এবং বিটরুট শীতকালের প্রধান সবজি। এই দুই সবজিতে থাকে প্রচুর পুষ্টি। অনেকেই আছেন গাজর বা বীট খুব একটা পছন্দ করেননা। স্যালাড বা তরকারিতেও একদমই পছন্দ করেননা। তাদের জন্য রয়েছে গাজর ও বিটের সরবত। শীতকালে এক গ্লাস গাজর-বিটরুটের সরবত খেলে শরীরে পুষ্টির পরিমাণ বজায় থাকবে।

এই গাজর ও বিটের অনেক গুণাগুণ রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক এগুলির গুণাগুণ -

১. গাজরের সরবতের উপকারিতা  : 

গাজর অত্যন্ত একটি উপকারী সবজি। শীতকালে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই গাজর দেখা যায়। শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয় , গাজর মানুষের ত্বক সুন্দর করতেও সাহায্য করে। গাজরে ক্যালোরি কম থাকে, কিন্তু প্রয়োজনীয় পুষ্টি অনেক। এই সবজিতে ভিটামিন এ, সি, কে এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। যাদের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল তাদের জন্য গাজর অত্যন্ত উপকারী ।

 এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গাজরের রস নিয়মিত পান করলে চোখের অন্যান্য রোগও প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়াও গাজরের রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে ক্যানসারবিরোধী বৈশিষ্ট রয়েছে। শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীরাও গাজরের সরবত পান করতে পারেন।

২. বীটের উপকারিতা  :

বীট ত্বকের যত্নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। শরীরে রক্তের মাত্রা ঠিকঠাক বজায় রাখে। ত্বকে প্রাকৃতিক গোলাপি ব্লাশ চাইলে প্রতিদিন খেতে হবে বীটের জুস। যাঁদের রক্তাল্পতা রয়েছে তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারি। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড রয়েছে , যা দ্রুত গতিতে নতুন লাল রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীদের জন্যও বিটরুটের রস উপকারী। 

এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। শরীরে প্রদাহ দমন করতে পারে ও অন্ত্র-বান্ধব ফাইবারের ভালো ডোজ সরবরাহ করে, যা পাচনতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। বীটের একটি তীব্র গন্ধ রয়েছে। সুতরাং বীটের সরবত খাওয়ার সময় সরবতের মধ্যে একটু  কমলালেবু বা পাতি লেবুর রস মিশিয়ে দিলে তীব্র গন্ধ কেটে যাবে। এতে জুস মিষ্টিও লাগবে। 

৩. সরবত পানের সঠিক সময় :

 গাজর ও বীটের সরবত দিনের শুরুতে পান করা উচিত। সকালে খালি পেটে জলখাবারের আগে বা দুপুরের খাবার খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে পান করা অত্যন্ত উপকারী। সূর্যাস্তের পরে খাবারের সাথে যে কোনও ধরনের সরবত না খাওয়াই ভালো।


Journalist Name : পাপড়ি চক্রবর্তী

Related News