বাংলাতেও এবার আসতে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস । বছর শেষের আগে আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় গঙ্গা পরিষদে অংশ নিতে কলকাতায় পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । জানা গিয়েছে, বছর শেষের ঠিক একদিন আগেই তিনি হাওড়া থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন।
২৪-এর লোকসভা ভোটে নজর রেখে ২২-এর শেষেই বাংলায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছোটানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের শাসকদল।
সংবাদ সূত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে,সম্প্রতি শিলিগুড়ি জংশনে রেলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নতুন বছরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার কথা বলেছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্তা। সেমি হাইস্পিড ট্রেনটির জন্য মালদার কিছু অংশে নতুন রেললাইন পাতা বা ট্র্যাকের কথা বলেছিলেন তিনি। বন্দে ভারতের জন্য আট থেকে নয় মাস অপেক্ষা করার কথাও বলেছিলেন জেনারেল ম্যানেজার।কিন্তু বুধবার রেলমন্ত্রকের তরফে চলতি মাসেই ট্রেনটি চালানোর কথা বলা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে যে হাওড়া থেকে ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করতে আগ্রহী তারা, সেটাও স্পষ্ট করে দেওযা হয়েছে রেলমন্ত্রকের তরফে। মন্ত্রকের থেকে এমন নির্দেশিকা পাওযার পরই পূর্ব রেল ও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা নিজেদের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে সংবাদ সূত্র মাধ্যমে ।
ভারত জুড়ে ইতিমধ্যেই ছয়টি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে। এবার আরও একটি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হবে । এবং তা খোদ বাংলাতেই। সংবাদপত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে , ৩০ ডিসেম্বরেই হাওড়া থেকে শুরু হবে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন হলে বাঙালির প্রিয় পাহাড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সময় অনেকটা কমে যাবে। ভারতীয় রেলওয়ের তরফে জানা গিয়েছে, সপ্তাহের ছয়দিনই চলবে এই ট্রেন। ফলে লাভবান হবেন বাংলার যাত্রীরা। যাত্রাপথে দুটি স্টেশনে দাঁড়াবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বোলপুর ও মালদা। এখনও পর্যন্ত ভাড়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও অন্যান্য ট্রেনের চেয়ে যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া খানিকটা বেশিই হবে।
উল্লেখ্য ,দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বন্দেভারত এক্সপ্রেস সেমি-হাইস্পিড ট্রেন। এই ট্রেন সম্পূর্ণ ভাবে স্বচালিত, অর্থাৎ আলাদা করে কোনও ইঞ্জিনের দরকার পড়ে না। বাতানুকূল ট্রেনের দরজাও স্বয়ংক্রিয়। ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটলেও গ্লাস থেকে চলকে পড়ে না জল। ১৪০ সেকেন্ডে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তুলতে সক্ষম এই ট্রেন।
শুধু তাই নয়, এই ট্রেনে রয়েছে ‘কবচ’ প্রযুক্তিও, যাতে অন্য কোনও ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগা এড়ানো যায়। ১৬ কামরার ট্রেনের প্রত্যেকটিতে এমার্জেন্সি টকব্যাক ইউনিটও রয়েছে। এই ট্রেন তৈরিতে খরচ পড়েছে ১১০ থেকে ১২০ কোটি টাকা।