সুস্বাস্থ্যের জন্য দুপুরের ঘুম কতটা উপকারী

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে এই ঘুমের পরিমাণ কম হলে যেমন শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। তেমনি বেশি ঘুমও ডেকে আনে চরম বিপর্যয়। ঘুমের জন্য উৎকৃষ্ট সময় হলো রাত। রাতে ঘুমিয়ে সকাল সকাল উঠে যাওয়া ভালো অভ্যাস। ভোরে ঘুম থেকে জাগলে সারা দিন নানা কাজের ব্যস্ততায় একসময় ক্লান্তি ভর করতেই পারে শরীরে। ক্লান্ত শরীর কর্মোদ্যম হারায়। মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়লে স্বাভাবিক মনঃসংযোগও ব্যাহত হয়। কাজের গতি কমে যায়। এমন সমস্যা মোকাবিলায় দুপুরের পর স্বল্পমেয়াদি হালকা ঘুম হতে পারে উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টাই ঘুমিয়ে কাটান তাদের সাবধান হওয়া উচিত। কারণ ঘুমের সময় আমাদের শরীরে কোনো মুভমেন্ট হয় না। এ অবস্থায় শরীর বেশি সময় থাকার কারণে শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে।

দিনের বেলায় ঘুম ও তার চক্র: আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, আমাদের দেহচক্র প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর ৩টি চক্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই ৩টি চক্র হলো- ভাতা, পিটা এবং কাপা।এই প্রতিটি চক্র নিজ নিজ দশা দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের শরীর একটি ছন্দের মধ্য দিয়ে চলে। এই প্রাকৃতিক ছন্দের মাধ্যমে আমরা কাজের গতি এবং আনন্দ খুঁজে পাই। আয়ুর্বেদ অনুসারে, দিনের বেলায় ঘুমানো কাপা ও পিটা দশার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও দিনের বেলা ঘুমানো শরীরের কার্যক্রমেও ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। তবে, আয়ুর্বেদে যারা স্বাস্থ্যবান এবং শক্তিশালী নন তাদের গ্রীষ্মকালে দিনের বেলাতে অল্প ঘুমানো যেতে পারে বলে উল্লেখ আছে। কারণ গ্রীষ্মকালে রাতের চেয়ে দিন বড় হয় তাই দিনে গরমের কারণে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গবেষণা বলছে, ক্লান্তি দূর করতে এই ছোট্ট ঘুম চা বা কফির চেয়েও বেশি কার্যকর। এই ঘুমে মানসিক চাপ কমে। মন ভালো হয়। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমে। হালকা ঘুমের পর চোখও আর ক্লান্তিতে জড়িয়ে আসে না। অবসন্নও লাগে না। কাজে ফিরে আসে নতুন উদ্যম। ঘুম না এলেও মিনিট দশেক কিংবা ঘণ্টাখানেকের বিশ্রাম আপনাকে সতেজ করে তুলবে। দুপুরে ৩০ মিনিট থেকে ৯০ মিনিটের ঘুমের উপকারিতা অনেক। দুপুরের ঘুম-

১. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

২. রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে ও উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

৩. নার্ভকে শান্ত করতে অবদান রাখে।

৪. মন ও মেজাজ ভালো রাখে।

৫. কাজ করার স্পৃহা বৃদ্ধি করে।

৬. শারীরিক ও মানসিক অবসন্নতা কমায়।

৭. শরীরকে রিল্যাক্স রাখে।

৮. মনোযোগ বৃদ্ধি করে।

৯. সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News