মৃত্যুর কারন বিষাক্ত কাঁকড়া ! দীঘা-সৈকত

banner

#দীঘা:

দীঘায় কাঁকড়া খেয়ে সাম্প্রতিককালে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরে দীঘায় কাঁকড়া খেয়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। এবার সৈকত শহরের প্রতিটি হোটেল, রেস্তরাঁয় হানা দিল খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা। যদিও এই অভিযান কেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি আধিকারিকেরা
হঠাৎ করেই একদিন দুপুরে দীঘায় হাজির হন খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা। এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন  নন্দীগ্ৰাম স্বাস্থ্য জেলা ফুড সেফটি অফিসাররা। সমস্ত হোটেল থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। রামনগর ১ ব্লকের ফুড সেফটি অফিসার মনিকা সরকার জানান, ‘রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল পরিমানে পর্যটক ভিড় জমান দীঘায়। তাঁদের সুরক্ষার দিকটি খতিয়ে দেখতেই খাদ্য দপ্তর অভিযান শুরু করেছে’। এদিন এই অভিযান চালাল রাজ্য ফুড সেফটি দফতরের নির্দেশে যৌথ অভিযান চালালো জেলা ফুড সেফটি বিভাগ ও স্বাস্থ্য দফতর।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দীঘায় কাঁকড়া খেয়ে বীরভূমের রামপুরহাটের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। তবে, এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও চলতি বছরের নভেম্বর মাসেও দীঘায় ঘুরতে এসে কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়, বেহালার এক যুবকের। এরপরই  খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের হানা পরে।

বিভিন্ন রেস্তরাঁ ও হোটেল থেকে পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য কাঁকড়া সংগ্রহ করা হয়। বেশ কয়েকটি প্রজাতির কাঁকড়া সংগ্রহ করে তদন্তকারী দলটি। শুধু অ্যালার্জিগত সমস্যা নাকি বিষাক্ত কাঁকড়া-ই ডেকে আনছে বিপদ? খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি এদিন বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁকে এদিন নিয়মবহির্ভূতভাবে খাদ্য রাখার কারণেও সতর্ক করা হয়।
সমুদ্র সৈকতের পাশেই 'গজিয়ে ওঠা' বেশ কয়েকটি মাছের খাবারের দোকানেও হানা দেয় তদন্তকারী দলটি। অভিযোগ, বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তরাঁ মালিক ফুড লাইসেন্স না নিয়েই দীঘায় ব্যবসা করছেন। তাঁদেরকেও অ্যালার্ট করা হয়। এবার থেকে ফুড লাইসেন্স সংগ্রহ করেই তারপর ব্যবসা করতে হবে, অন্যথায় রেস্তরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তদন্তকারীরা। 
উল্লেখ্য, করোনা আবহে, দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে সবেমাত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে পর্যটন শহর দীঘা। ছুটি কাটাতে প্রতিনিয়ত সৈকত শহরে ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার পর্যটক। বছর শেষের ছুটিতে সেই ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই হোটেল ও রেস্তরাঁয় লাইন পড়ছে প্রচুর মানুষের। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাতে কোনও অসাধু ব্যবসায়ী খারাপ খাবার দিতে না পারে, সেদিকে কড়া নজর রেখেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।

Journalist Name : Sayantika Biswas

Related News