আগামী মাসেই পূর্ব মেদনিপুর সফরে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমুদ্র সৈকতকে ঢেলে সাজানোর জন্য এর আগেও একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। পুরীর আদলে দিঘাতেও তৈরি করা হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির।
এবার 'অমরাবতী' পার্ককে সাজাতে উদ্যোগ নিল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
শিশুদের কাছে পার্কটিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সেখানে নারায়ণ দেবনাথের কার্টুন চরিত্র হাঁদা-ভোঁদার কাণ্ডকারখানা, বাহাদুর বেড়াল, বাঁটুল দি গ্রেট প্রভৃতির মডেল বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পার্কের মধ্যে ভাঙা কাঠের সেতুটি নতুনভাবে তৈরি করা হবে। জলাশয়ের চারদিকে সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে বসার আসন সহ নানা উপকরণ রাখা হবে। রাজহাঁসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। পার্কের মধ্যে আরও আলো লাগানো হবে। পর্যটকরা পার্কের মধ্যে ঢুকলে সাউন্ড সিস্টেমে গান শুনতে পাবেন। সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হবে গোটা পার্ক। পার্কের মধ্যে অবস্থিত ‘ক্যাফেটেরিয়া’ নামের রেস্তরাঁটি দীর্ঘদিন বন্ধ। রেস্তরাঁটিকে নতুনভাবে সাজা হবে। সব মিলিয়ে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে আকর্ষণীয় উঠতে চলেছে অমরাবতী পার্ক।
জানা গিয়েছে, তারা দশ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। এরপরেই 'অমরাবতী'-র ভোল বদল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে ইয়াস এবং আমফানে পার্কের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ে জলাশয়ের উপর থাকা কাঠের সেতু ভেঙে যায়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় পার্কের একটি অংশে পর্যটকদের যাতায়াত দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পার্কটিকে নানা বিনোদনের উপকরণের মাধ্যমে নতুন করে সাজানোর দাবি অনেকদিন ধরেই উঠছিল। সেইমতো রাজ্য সরকারের কাছে এ ব্যাপারে একটি খসড়া প্রকল্প তৈরি করে পাঠায় উন্নয়ন সংস্থা। আর্থিক অনুমোদন পাওয়ার পর কাজ শুরু হয়েছে। দীঘার বাসিন্দা অর্ণব মিশ্র বলেন, পার্কটি নতুন করে সাজানোর প্রয়োজন ছিল। এবার কাজ শুরু হয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগছে। এবার শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে পার্কটি। উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, পার্কটিকে সাজানো-গোছানোর কাজ চলছে জোরকদমে। আগামী মে-জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।